স্বাধীনতার ৫০ বছরেও মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি মেলেনি মোজাম্মেলের। তাই মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গেজেটে নাম না থাকায় মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য বিভিন্ন দপ্তরের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সে। তিনি টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর গ্রামের মৃত গিয়াস উদ্দিন আকন্দের ছেলে। ১৯৭১-এ মুক্তিযোদ্ধাকালীন সময়ে মোজাম্মেল হক ‘১নং হেড কোয়ার্টার কোম্পানির’ কমান্ডারের মাধ্যমে ১১ নং সেক্টরর ঢাকা, টাঙ্গাইল, পাবনা, সিরাজগঞ্জ ও ময়মনসিংহের এলাকায় বীর প্রতীক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম তালুকদার (কাদেরীয়া বাহিনীর) সাথে পাকহানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন।
মোজাম্মেল হকের আবেদনপত্র সূত্রে জানা যায়, ‘২০১৫ সালের ৩০ জুন অনলাইনে আবেদনের শেষ সময় নির্ধারণ করা ছিল। নির্দিষ্ট সময়ে আবেদন করতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধার গেজেট তালিকা থেকে তার নাম বাদ পড়ে। পরবর্তীতে মুক্তিযোদ্ধা তালিকার গেজেটে নাম প্রকাশের লক্ষ্যে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসের ১৩ তারিখে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আপিলের আবেদন করেন। কিন্তু যাচাই-বাছাই তালিকায় গেজেটে নাম না আসায় হতাশা প্রকাশ করেন তিনি।’
মোজামে¥ল হক বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধে ৭১ সালে ১১ নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণ করি। পাক-হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধও করেছি। যুদ্ধকালীন সময়ে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫০ বছর হলেও গেজেটে নাম আসেনি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং মুক্তিবাহিনীর সাথে সব ধরণের কাজে সহযোগিতা করেছি। বাল্যকাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে দেশকে স্বাধীন করার জন্য জীবনবাজি রেখে ১১ নং সেক্টরে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার গেজেটে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত ও প্রকাশ না করায় হতাশ হয়েছি। মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতির জন্য এখন আমি দ্বারে দ্বারে ঘুরছি। মাননীয় মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী মহোদয়ের নিকট আমার এ বিষয়টি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আবেদন করছি।
পাঠকের মন্তব্য: