ভুয়া মেইলে কুৎসা রটনা ঘটনায় অধ্যাপকের জিডি

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৫:০০ এএম

কামরুল ইসলাম অভি, রাবি থেকে:  রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূয়া ইমেইল খুলে কুৎসা রটনায় এবার থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. সুলতান-উল- ইসলাম টিপু। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এস এম সিদ্দিকুর রহমান।

ডায়েরিতে অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম লিখেছেন, গত ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে এক ইমেইল থেকে একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনায় ভোট দিন শিরোনামে কুরুচিপূর্ণ, অসত্য, বানোয়াট, উদ্দেশ্যপ্রনোদিত এবং মানহানিকর বার্তা ও বক্তব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যদের নিকট প্রচার করা হয়। একই আইডি থেকে পরের দিন ২১শে ফেব্রুয়ারি তারিখ দুপুর ১টায় একুশে ফেব্রুয়ারি চেতনায় রাজাকারের দল নির্বাচন বর্জন করুন শিরোনামে আরো একটি ইমেইল পাঠানো হয়। মেইলে বার্তা প্রেরক হিসেবে সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস নাম উল্লেখ করা হয়। অধ্যাপক ড. সুলতান-উল-ইসলাম টিপু লিখেন, ইমেইল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌসের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উক্ত ইমেইল দুটি আমি পাঠায় নি এবং উল্লেখিত ইমেইল আইডিটি আমার না। সাধারণ ডায়েরীতে অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম উল্লেখ করেন, 'আমি ব্যক্তিগতভাবে ই-মেইলের সংযুক্তি হিসেবে প্রপার্টিস পরীক্ষা করে রেজাউল করিম বকসী নামটি লেখক হিসেবে দেখতে পাই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে এ নামে একজন অধ্যাপক কর্মরত আছেন। তিনি লিখেন, বার্তাগুলো আমাকে রাজাকার বলে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ তারিখে অনুষ্ঠিত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের নির্বাচনে আহ্বায়ক প্রার্থী হিসেবে আমাকে, আমার পরিবারকে এবং আমাদের প্যানেলের সদস্যবৃন্দকেও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মিথ্যা বানোয়াট তথ্য প্রচারের ফলে শিক্ষকমন্ডলীর নিকট আমার সম্পর্কে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়ে থাকতে পারে এবং আমি এই নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে সামান্য ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছি। ডিজিটাল প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহার করে উক্ত ই-মেইল আইডি থেকে আমার বিভিন্ন সহকর্মীদের নিকট মিথ্যা তথ্য উপাত্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে প্রচার করে আমার পরিবারের সদস্য ও আমার প্যানেলর সদস্যদের ব্যক্তিগত সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন করেছে। এর আগে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ড. জান্নাতুল ফেরদৌস । সার্বিক বিষয়ে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এই ঘটনায় এর আগে একটি মামলা হয়েছে। মামলাটি উপ-পরিদর্শক ইমরান হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ভুক্তভোগী নিজে গতকাল রাতে এসে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন। উপ পরিদর্শক ইমরান হোসেনকেই জিডি'রও তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: