খাশোগিকে হত্যার অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ

প্রকাশিত: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ০৩:৫৩ পিএম
নির্মমভাবে খুন হন সাংবাদিক জামাল খাশোগি ছিলেন সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের কট্টর সমালোচক। তাই শুরু থেকেই হত্যার নির্দেশদাতা হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানকে সন্দেহ করা হচ্ছে। অবশ্য যুবরাজ এই হত্যায় তার সরাসরি সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করে আসছেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে বিন সালমানের যোগ রয়েছে তা প্রায় নিশ্চিত করেই এ সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স। শুক্রবার রাতে ব্রিটেনের জাতীয় পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়, চার পৃষ্ঠার ‘জামাল খাসোগি হত্যায় সৌদি সরকারের ভূমিকা’ শীর্ষক এ গোয়েন্দা প্রতিবেদনটি শুক্রবার প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার অনুমতি দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর আগে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সৌদির বাদশাহ সালমানকে ফোন দেওয়ার একদিন পর শুক্রবার এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুবরাজ সালমানের সংশ্লিষ্টতার দাবি করে প্রতিবেদন প্রকাশ করলো মার্কিন ডিরেক্টর অব ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স। এর আগে ২০১৯ সালের জুনে ক্যালামার্ডের করা এক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, খাশোগি হত্যার ঘটনায় যুবরাজের সংশ্লিষ্টতার যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ রয়েছে। এ ব্যাপারে আরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। ২০১৮ সালে ২ অক্টোবর ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল খাশোগি। সেদিনই নিখোঁজ হন তিনি। সৌদি সরকার ১৭ দিন দাবি করেছিল তার অবস্থান সম্পর্কে কোনো তথ্য নেই। আন্তর্জাতিক চাপে একই বছরের ১৯ অক্টোবর খাশোগিকে সৌদি দূতাবাসের ভেতর হত্যা করা হয়েছে বলে স্বীকার করে সৌদি। হত্যার অভিযোগে ১১ জন সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হয়েছিল। খাশোগিকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার মরদেহ টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল বলে ধারণা করে পুলিশের। মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন সৌদির প্রত্যাখ্যান: সৌদি আরবের ভিন্ন মতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিববেদন প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই প্রতিবেদনকে ‘নেতিবাচক, মিথ্যা এবং অগ্রহণযোগ্য’ মূল্যায়ণ বলে উল্লেখ করেছে বলে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: