মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ, ৫ দিনের রিমান্ডে যুবক

প্রকাশিত: ০১ মার্চ ২০২১, ১১:১২ পিএম
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের আলাইয়াপুর ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে বিবস্ত্র ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ভাইরালের ভয় দেখিয়ে দফায় দফায় ধর্ষণ ও অপহরণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত এজাহারভুক্ত ফয়সাল (২২) ও এজাহারবহির্ভূত মোজাম্মেল (২৩) নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অন্যদিকে আরেক গ্রেফতারকৃত আসামি সাইফুল ইসলাম ইমনের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে তিন দিন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। রিমান্ড মঞ্জুর করার পর শনিবার রাত ৮টার দিকে বেগমগঞ্জ পুলিশ আদালত থেকেই তাকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বেগমগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত ) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রুহল আমিন  এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অপহৃত মাদ্রাসাছাত্রীকে ঢাকার সাভারে একটি বাসা থেকে উদ্ধার করার পর তাকে বেগমগঞ্জে নিয়ে আসা হয়েছে। রোববার ভিকটিমের ২২ ধারা জবানবন্দির আবেদন করলেও তার মেডিক্যাল পরীক্ষা করাতে না পারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা যায়নি। উল্লেখ্য, হীরাপুর গ্রামের কাজী সিরাজের ছেলে ফয়সাল, একই গ্রামের লেদনের ছেলে জোবায়ের, সোনাইমুড়ীর কামাল হোসেনের ছেলে শামসুল হক রাসেল, হীরাপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ইসলাম ইমন, স্থানীয় ধীতপুর দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। বিষয়টি স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারকে অবহিত করে ভুক্তভোগী পরিবার। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৮ সালের ৩ মার্চ তারা ভুক্তভোগীর বাড়িতে এসে কৌশলে তার মাকে কোমলপানীয়র সঙ্গে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে অস্ত্রের মুখে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে। পরে মোজাম্মেল হোসেন নামে এক দোকানিকে ডেকে এনে জোর করে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দাঁড় করিয়ে উভয়কে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে তারা। পরে ওই ভিডিও ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যায় এবং একাধিকবার ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। মেয়েকে বিয়ে দিয়েও রেহাই পাইনি পরিবারটি। বিয়ের পরও ভুক্তভোগী বেড়াতে এলে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। সর্বশেষ গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর আবারও আসামিরা ভুক্তভোগীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। বেগমগঞ্জ মডেল থানায় বৃহস্পতিবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করেন। বৃহস্পতিবার রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় সাইফুল ইসলাম ইমন ও ফয়সালকে এবং শনিবার এজাহারবহির্ভূত মোজাম্মেলকে গ্রেফতার করে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: