পুলিশের সন্তানদের মিছিলের সামনে নেব, দেখি লাঠি তাদের গায়ে পড়ে কিনা: এমপি হারুন

প্রকাশিত: ০৩ মার্চ ২০২১, ০৭:৩৯ পিএম
খুলনার মতো রাজশাহীতেও অবরুদ্ধ নগরীতে বিভাগীয় সমাবেশ করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে নগরীর নাইস কনভেনশন সেন্টারে এ সমাবেশ হয়। দলটির পক্ষ থেকে নগরীর তিনটি জায়গার যেকোনো একটিতে সমাবেশ করার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। তবে তাদের বাইরে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়নি পুলিশ। নাইস কনভেনশন সেন্টারেই কর্মসূচি পালনের অনুমতি দেওয়া হয়। রাজশাহীতে বিএনপির বিভাগীয় মহাবেশে পুলিশি বাধার প্রতিবাদ জানিয়ে দলটির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশিদ বলেন, আমি রাজশাহীর মাটিতে পরিষ্কারভাবে পুলিশ ভাইদের বলে দিতে চাই- আগামী ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ খুলবে। প্রস্তুত হোন। পুলিশের ছেলে যারা, যারা বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে পড়ালেখা করে। তাদেরকে মিছিলের সামনে আমরা নেব। দেখি পুলিশের লাঠি তাদের গায়ে পড়ে কিনা। তিনি আরও বলেন, আমি পার্লামেন্টে যোগদান করেছি। আমি সাংবাদিক বন্ধুদের উদ্দেশে আজকে বলতে চাই, জাতির উদ্দেশে বলে দিতে চাই, যে মুহূর্তে তারেক রহমান বলবেন, এই অবৈধ সংসদ থেকে পদত্যাগ করে বেরিয়ে আসব। আপনারা শুধু প্রস্তুত হোন যুদ্ধের জন্য। লাঠি লাগে, অস্ত্র লাগে, যা কিছু লাগে তাই নিয়ে আমরা প্রস্তুত হব, ইনশাআল্লাহ। মানুষ আগুন হয়ে আছে। এমপি হারুন-অর রশিদ বলেন, আজকে আমি এই সমাবেশে যোগ দিতে আমার বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছি। এই সমাবেশ থেকে আমার বাড়ির দূরত্ব মাত্র ৪০ কিলোমিটার। গতকাল রাজশাহীর চারদিকে বাস-ট্রাক সমস্ত কিছু বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমি বিস্মিত হয়েছি। আজকে যখন আমি সকালে রওনা দিয়েছি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমার বাড়ি থেকে বের হওয়ার পরই পুলিশ বাধা দিয়ে বলে যেতে দেওয়া যাবে না। আমি বলেছি, আমাকে গ্রেপ্তার করতে হবে, আর না হলে আমি যাবই। এরপরে গোদাগাড়িতে বাধা দিয়েছে। রাজাবাড়ীতে এসে দেখলাম শত শত মানুষ গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ হচ্ছে লুটেরাদের উৎখাত করার সমাবেশ। আজকের এই সমাবেশ মাফিয়াদের বিরুদ্ধে আমাদের সমাবেশ। আজকের এই সমাবেশ দেশে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার সমাবেশ। এমপি হারুন বলেন, প্রথম ধাপে নির্বাচন হয়েছিল কাটাখালী পৌরসভায়। সেখানে আমাদের মেয়র প্রার্থী সিরাজুল। লজ্জা লাগে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছে ১৭ হাজার ২৪০ ভোট আর বিএনপির প্রার্থী পেয়েছে মাত্র ৭৬ ভোট। এটা কি বিশ্বাসযোগ্য? আরেকটি পৌরসভা হচ্ছে চাটমোহর। সেখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পেয়েছে ১৭ হাজার ২৫২ ভোট আর বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষে পেয়েছে ৮৫ ভোট। এটা কি বিশ্বাস করা যায়? এই সরকারের অধীনে ভোট চলবে না। এমপি হারুন বলেন, আপনারা প্রস্তুত হোন। রাজশাহী থেকে আমরা আন্দোলনের দাবানল সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে দেব।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: