‘জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে’

প্রকাশিত: ০৪ মার্চ ২০২১, ০৮:০৩ পিএম
আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমেই এ সরকারের পতন হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই সরকার অবৈধ সরকার। তাই এ সরকার টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ গণবিরোধী আইন করছে। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে সরাতে হবে। আজ বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি, লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর এবং নোয়াখালীতে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল এই বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে। অবিলম্বে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ চেয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন দাবি করেন মির্জা ফখরুল। বিএনপি মহাসচিব বলেন, লেখক মোশতাক আহমেদকে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার কারাগারে আটক রেখে হত্যা করা হয়েছে। আমরা প্রথমেই বলেছি, রাষ্ট্রীয় মদদে এই হত্যাকাণ্ড হয়েছে। আমরা সেদিনই বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছি। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে প্রায় ৭০০ মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুধুমাত্র সরকারের সমালোচনা করে কার্টুন বা লেখার কারণে ৭ বছরের মেয়ে থেকে শুরু করে গৃহবধূকে ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হতে হয়েছে আমাদের। মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার সম্পূর্ণ একটি অবৈধ সরকার, অনির্বাচিত সরকার। তাদের জোর করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হচ্ছে এবং টিকে থাকার জন্য এ ধরনের সম্পূর্ণ গণবিরোধী আইন তৈরি করেছেন। যে আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছে। ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে আটক করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন, তারেক রহমানসহ যেসব নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে। ওই সাজা প্রত্যাহার করতে হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমাদেরকে শক্ত হয়ে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে। আসুন সকল রাজনৈতিক দল আমরা একসাথে প্রতিবাদ করে দাঁড়াই। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শেষ করতে চাই। এই সরকারকে আবারও বলছি, অবিলম্বে পদত্যাগ করে নির্বাচন দিন। যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুল আলম নীরবের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু ও সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নয়ন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: