‘আম্মু আমাকে মাফ করে দিয়েন’ চিরকুট লিখে না ফেরার দেশে চবি শিক্ষার্থী

প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২১, ০১:০৬ এএম
খাগড়াছড়ির রামগড়ে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র নাইমুল হাসান মিশন। তার বাড়ি রামগড় পৌরসভার ফেনীরকুল নির্মাণাধীন স্কেল লোড স্টেশনের পাশে। নাইমুল হাসান মিশন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ছাত্র। তার বাবা মো. কামাল হোসেন। তিনি সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন। নাইমুল হাসান মিশন তার বাবা-মায়ের বড় সন্তান। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, নাইমুল হাসান মিশন বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতের খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায়। রাতের কোন এক সময়ে চিরকুট লিখে খাটের উপর রেখে ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। ভোর বেলা অনেক ডাকাডাকি করেও কোন সাড়াশব্দ না পেলে দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় স্বজনরা। এরপর তারা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। নিহতের দুটি চিরকুট পাওয়া গেছে। একটিতে লেখা ছিল, ‘এই দুনিয়া আমার জন্য নয়, পারলে সবাই আমাকে ক্ষমা করে দিবেন’। অপর একটিতে ছিল, ‘আমার মৃত্যুর জন্যে কেউ দায়ী নয়, আমার বেঁচে থাকার কোন ইচ্ছা নেই, তাই আমি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি, ডারউইন বলেছিলেন- Survival for the fittest. but I not even fit. আমার জন্য কেউ কখনো কষ্ট পেয়ে থাকেন পারলে ক্ষমা করে দিয়েন। আম্মু আমাকে মাফ করে দিয়েন, মিলনের খেয়াল রাখিয়েন (মিলন ছোট ভাই)। আব্বু আমাকে সফল করার জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছেন, আমি পারিনি তাই ক্ষমাপ্রার্থী’। রামগড় থানার ওসি (তদন্ত) মনির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি পাঠানো হয়েছে। নিহত নাইমুল হাসান মিশন এলাকায় ভদ্র নম্র হিসেবে পরিচিত ছিল। মেধাবী হিসেবেও তার ভেশ সুনাম ছিল। এব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: