১০ হাজার টাকার অনুদানের আশায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরল শিক্ষার্থীরা!

প্রকাশিত: ০৭ মার্চ ২০২১, ০৯:৪৪ পিএম
জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় করোনার কারণে শিক্ষার্থীদের ১০ হাজার টাকা সরকারি অনুদানের আশায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরেছে ছাত্র-ছাত্রীরা। আর এই আশায় বিশ্বাস করে গত শনিবার ও রবিবার শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ঢল নেমেছিল উপজেলা সদরে। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের প্রত্যয়ন নিতে শহরের স্কুল, কলেজ ও মাদরাসায় উপস্থিত হন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। আবেদন ফরম, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, জন্ম নিবন্ধন সনদ ও পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে এলাকার বিভিন্ন স্থানের ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অতিরিক্ত মানুষের চাপে শহরে করোনাকালীন স্বাস্থ্য বিধি মানা বা মাস্ক পড়ার নিয়ম উপেক্ষিত হয়েছে। কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা জানান, গত বছরের মতো এ বছরও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বিশেষ অনুদানের জন্য আবেদন চাওয়া হয়েছে। দুরারোগ্য ব্যাধি ও দৈব দুর্ঘটনার শিকার শিক্ষক-কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা এই অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দুস্থ, প্রতিবন্ধী, গরিব ও অনগ্রসর ছাত্র-ছাত্রীরা অগ্রাধিকার পাবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া সংস্কার, আসবাবপত্র, খেলার সামগ্রী এবং পাঠাগার উন্নয়নের জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। ৭ মার্চ আবেদনের শেষ সময়। তবে এটি করোনা প্রণোদনা বা স্টুডেন্ট ভাতা না বলে তারা স্বীকার করেন। বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তারা জানায় জানায়, করোনাকালীন স্টুডেন্ট ভাতা হিসেবে ১০ হাজার টাকা প্রদান করার কথা শুনে তারা প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট থেকে প্রত্যয়ন নিয়ে অনলাইনে আবেদনের জন্য ভিড় করেছেন। কিন্তু নির্ধারিত ওয়েবসাইটে সমস্যা হচ্ছে বলে তারা জানান। এদিকে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিনামূল্যে প্রত্যয়ন দিলেও কোনো প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা ২০/৫০ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। আবার উপজেলার বিভিন্ন স্থানের ফটোকপি ও অনলাইন সার্ভিসের দোকানগুলোতে নেয়া হচ্ছে ১০০/২০০/৩০০ টাকা করে নেয়া হচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা জানান। শিক্ষার্থী আফিয়া রহমান অহনা, রিফাত তাসনিয়া আইকো, তানজিন আহমেদ অনিম, ফারিয়া আকন্দ ¯েœহা, মহিমা আক্তার মায়শা, জান্নাতুল মাওয়া, শাহরিয়ার জাহানসহ অনেকেই জানায়, ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার কথা শুনে মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে এসেছে। অভিভাবক ফাতেমা খাতুন, রাবেয়া খাতুন, শাহজাহান, নিপা রহমান, ফারজানা রিপি, জুলেখা বেগম, লাকী আকতারসহ অনেকে জানান, সবার মুখে মুখে অনুদানের কথা শুনে শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে এসেছি অনলাইনে আবেদন করতে। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি। তবে অনলাইনের সার্ভার সমস্যার কারণে আবেদন পাঠানো সময় লাগছে বলে তারা জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান এ বিষয়ে পক্ষে বিপক্ষে অবস্থান না নিয়ে জানান, এ ধরনের চিঠি গত বছরেও এসেছিল এবং সীমিত সংখ্যক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী অনুদান পেয়েছেন। কিন্তু গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ধনী, সচ্ছল পরিবারের শিক্ষার্থীরা প্রত্যয়ন নিয়ে আবেদন করার জন্য ভিড় করছেন। তবে যে চিঠি এসেছে তাতে সব শিক্ষার্থীর আবেদনের সুযোগ নেই।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: