চেন্নাইয়ে দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে টিকা দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা

প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২১, ০৫:৩৮ এএম
ভারতে ভয়াবহ হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। ভিড় হয় এমন বেসরকারি বাস স্ট্যান্ডগুলোতে যাত্রীদের কভিড পরীক্ষা করা হবে। যে সব রাজ্যে সংক্রমণ বেশি, সেই সব রাজ্য থেকে আগত যাত্রীদেরও এই পরীক্ষা করা হবে। সমস্ত জেলা প্রশাসন এবং পুলিশকে এ ব্যাপারে সরকারি নির্দেশিকা কঠোর ভাবে মেনে চলার কথা বলা হয়েছে। ভারত আছে তৃতীয় অবস্থানে। ভারতে করোনায় সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ১ কোটি ১৭ লাখ ৩৩ হাজার ৫৯৪ জন। দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৭৭ জন। চেন্নাইয়ের অ্যাপার্টমেন্টের দরজায় বারবার টোকা পড়ছিল। দরজা খুলতেই দেখা গেল দুজন স্বাস্থ্যকর্মী। করোনা মহামারীর টিকা নিয়ে এসেছেন তারা। ভারতের চেন্নাইয়ের বিস্তৃত পূর্বাখারা উইন্ডারমেয়ারের ঘটনা এটি। সেখানে বাসায় এসে ৯ বৃদ্ধকে টিকা দেওয়া হয়েছে। ৯৫ বছর বয়সী সাবেক সেনা কর্মকর্তা কৃষ্ণা জি রাও এবং তার স্ত্রী এখন অনেকটা স্বস্তিবোধ করছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাদের বাসায় এসে টিকা দিয়ে গেছেন। বিপুলসংখ্যক মানুষকে টিকা দিতে চেন্নাইয়ের পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এমন ব্যবস্থাই নিয়েছেন। কৃষ্ণ জি রাও বলেন, আমার মতো বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষের জন্য এটিই সেরা ব্যবস্থা। টিকা নিতে দীর্ঘসময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে কিংবা সময় অপচয় হয়নি। কৃষ্ণ জি রাও এনডিটিভিকে বলেন, আমি নিয়মিতই বাইরে বের হতাম। কিন্তু গত এক বছর ঘরবন্দি হয়ে আছি। তাদের ক্লাব হাউসে এভাবে বহু মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে। এ সময় তত্ত্বাবধানে একজন চিকিৎসক উপস্থিত ছিলেন। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় কয়েকশ লোককে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। সেখানকার গাড়িচালক, গৃহকর্মী, নিরাপত্তা ও অফিসকর্মীরাও বাদ যাননি। রোলি শর্মা নামের এক শিক্ষিকা বলেন, এটা খুবই ভালো। আমাদের বাইরে বের হতে হয়নি। চিকিৎসকসহ তারা আমাদের কাছে এসেছেন এবং টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। খুবই চমৎকার সিদ্ধান্ত। তামিলনাড়ুতে বিপুলসংখ্যক মানুষের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণ চেন্নাই। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কায় সেখানকার স্কুল-কলেজসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। মহামারী থেকে নাগরিকদের রক্ষায় যথেষ্ট তৎপরতা চালাচ্ছে চেন্নাই পৌর কর্তৃপক্ষ। ডা. লোগিশ যুবরাজ বলেন, আমরা প্রথমে ঝুঁকিপূর্ণ মানুষগুলোকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি। বিশেষ করে বয়স্ক লোকজন ও যাদের বয়স ৪৫-এর বেশি। যারা আগে থেকেই বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংকটে রয়েছেন। তবে যাদের বয়স ৪৫ বছরের কম, তাদেরও টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চেন্নাইয়ের জনসংখ্যার সাড়ে ৬ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ লাখ লোককে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত পাঁচ লক্ষ মানুষ চেন্নাইয়ের জনসংখ্যার ৫.৫ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে। দোরগোড়ায় টিকা দেওয়ার এই ড্রাইভটিকে "ঘরে ঘরে হাসপাতাল পাঠানো" বলা হয়। চেন্নাই কর্পোরেশন কমিশনার জি প্রকাশ নাগরিক সংস্থা নিজের জন্য নির্ধারিত উচ্চ লক্ষ্য ভাগ করে নিয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: