তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্যাতনের মাধ্যমে আল্লামা শফীর মৃত্যুর ঘটনার বিচার চেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছিল। দীর্ঘ তদন্তের পর পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। আমরা চাই, আল্লামা শফী 'হত্যার' উপযুক্ত বিচার হোক। বুধবার (১৪ এপ্রিল) পয়লা বৈশাখের দুপুরে ঢাকায় নিজ বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় পবিত্র রমজান ও বাংলা নববর্ষের প্রথম দিন উপলক্ষে তিনি নতুন বছরে দেশ ও সমগ্র বিশ্বের করোনামুক্তি কামনা করেন।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে ইউরোপ সফর থেকে দেশে ফেরেন তথ্যমন্ত্রী। সাম্প্রতিক প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা আহমদ শফী হত্যা মামলায় বাবুনাগরী ও মামুনুল হকসহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যুরো অভ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) দাখিল করা অভিযোগপত্রের বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় তথ্যমন্ত্রীকে।
তিনি বলেন, 'নির্যাতনের মাধ্যমে আল্লামা শফী সাহেবকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট। তখনকার পত্রপত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের বিভিন্ন চিত্র প্রকাশিত হয়েছিল। হাটহাজারী মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা শতবর্ষী আল্লামা শফীর চরম অসুস্থতাকালে তার কক্ষ ভাংচুর করা, হাসপাতালে নেওয়ার পথে এক ঘণ্টা গাড়ি আটকে রাখা, অক্সিজেন টিউব খুলে নেওয়া, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা -এসবই সবাই দেখেছে।'
ড. হাছান আরও বলেন, 'আল্লামা শফী সাহেব আমার নির্বাচনী এলাকার ও আমার পাশের ইউনিয়নের একজন আলেম ছিলেন। তার মতাদর্শ নিয়ে নানা কথা থাকলেও মানুষ হিসেবে তিনি ছিলেন সজ্জন। যারা মামলা করেছেন, তারাও আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ। আমি চাই, আল্লামা শফী সাহেবকে যারা নির্যাতন করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের উপযুক্ত বিচার হোক।'
করোনা সংক্রমণরোধে লকডাউনের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরূপ মন্তব্য সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'জনগণকে মহামারির হাত থেকে রক্ষার জন্যই সরকার লকডাউনের ব্যবস্থা নিয়েছে। বিশ্বের দেশে দেশে একই ব্যবস্থা। কিন্তু দুঃখজনক, মির্জা ফখরুল সাহেবদের কথা শুনে মনে হয়, তারা চান, দেশে করোনা সংক্রমণ আরও ব্যাপক বৃদ্ধি পাক। প্রতিদিন দেশে শত শত মানুষের মৃত্যু হোক, তাহলে তাদের রাজনীতিতে সুবিধা হয়।'
পাঠকের মন্তব্য: