কাঁচাবাজারে পণ্যের দাম বেশ চড়া

প্রকাশিত: ১৬ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫০ পিএম
লকডাউন ও রোজা শুরুর পর থেকে কাঁচাবাজারে নানা পণ্যের দাম বেড়ে চলছে। বেগুন, শসা, টমেটো ও লেবুর দাম দ্বিগুণ বেড়েছে। এর মধ্যে বেগুন ও শসার কেজি এবং লেবুর হালির দামে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। কম দামি টমেটোর দামও হাফসেঞ্চুরি করেছে। ইফতারের উপকরণ হিসেবে এগুলোর কদর থাকায় ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ানোর সুযোগ নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। বুধবার থেকে রোজা ও কঠোর লকডাউন শুরু হয়েছে। এই সুযোগে সবজির বাজারে দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা অভিযোগ করেন, গত সোমবার রাজধানীর বাজারে ক্রেতারা বেগুন ও শসা ৪০ থেকে ৫০ টাকায় কিনেছেন। এখন ৯০ থেকে ১০০ টাকা গুনতে হচ্ছে। বাজারে সবচেয়ে কম দামি সবজি টমেটোর কেজিও ৫০ টাকায় পৌঁছেছে। রোজার প্রথম দিনেই অস্বাভাবিক দাম বেড়েছে এসব সবজির। গতকাল বৃহস্পতিবারও একই দাম ছিল। গত দু'দিনে দাম দ্বিগুণ হয়েছে। এখন শসার কেজি প্রায় ১০০ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে চার গুণ দাম বেড়েছে লেবুর। গত বুধবার প্রতি হালি লেবু ২০ থেকে ২৫ টাকা ছিল। এখন তা ৮০ থেকে ১০০ টাকায় উঠেছে। রাজধানীর তালতলা বাজারে ১২০ টাকায়ও হালি বিক্রি হয়েছে। মঙ্গলবারও ৪০ টাকা হালি ছিল এই বাজারে। এখন পাকা টমেটো ৫০ টাকা ও বেগুনের দামও ৮০ থেকে ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে পাকা টমেটো ১৫ থেকে ২০ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে। দু'সপ্তাহ আগে কৃষকরা টমেটো ফেলে দিয়েছেন। তখন ক্ষেতে দুই টাকায় কেজি বিক্রি করেছেন তারা। বাজারে এখন আলু ও পেঁপে ছাড়া বেশিরভাগ সবজি ৭০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহে ৪০ থেকে ৫০ টাকা ছিল। আলুর দামও কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে ২০ থেকে ২৫ টাকা এবং পেঁপে ৩৫-৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মাছ, মাংসসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম বেশি থাকায় সবজির চাহিদা বেশি। এ কারণে এবার পাইকারি মোকামে সবজির দামও বেশি। তাছাড়া করোনা মহামারির কারণে লকডাউনে কড়াকড়ি আরোপ করায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম। এতেও দাম বাড়ছে। বিশেষ করে করলার কেজি দ্বিগুণ বেড়ে ১০০ টাকা হয়েছে। অন্যান্য সবজির মধ্যে বরবটি, ঢেঁড়স ও পটোলের কেজি ৭০ থেকে ৮০ টাকা হয়েছে। কাঁচাবাজারে এসব পণ্যের নির্ধারিত দর না থাকায় তদারকিতে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারছে না বাজার মনিটরিং টিম। তবে সরকার যেসব পণ্যের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, সেসব পণ্যও অনেক বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হলেও ব্যবসায়ীরা বাড়তি দাম নিচ্ছেন। বাজারে শুধু গরুর মাংস বেঁধে দেওয়া দাম প্রতি কেজি ৬০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। নির্ধারিত দাম অনুয়ায়ী খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ সর্বোচ্চ ৪০ টাকা, চিনি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকা, ছোলা ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, মসুর ডাল উন্নতমানের হলে দাম হবে ৯৭ থেকে ১০৩ টাকা ও সাধারণ মোটা মসুর হলে ৬১ থেকে ৬৫ টাকা, খেজুর সাধারণ মানের ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং মধ্যম মানের ২০০ থেকে ২৫০ টাকা এবং সয়াবিন তেল লিটারে ১৩৯ টাকা। এসব পণ্যই নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। কোথাও কোথাও পেঁয়াজ ও গরুর মাংস নির্ধারিত দামে পাওয়া যাচ্ছে। অন্য সব পণ্যে বেশি দাম গুনতে হচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সোম ও মঙ্গলবারের তুলনায় গত দু'দিন বাজারে ক্রেতাদের ভিড় কিছুটা কম ছিল। কঠোর লকডাউনের মধ্যে বাজারে এলেও ক্রেতারা মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে ছিল না মাস্ক। আবার কারও কারও কাছে মাস্ক থাকলেও তা থুতনিতে ছিল।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: