নীলফামারীতে কীটনাশক বিক্রেতার ভুল পরামর্শে সর্বনাশ কৃষকের

প্রকাশিত: ১৮ এপ্রিল ২০২১, ০৪:৫৪ এএম
নীলফামারীতে কীটনাশক বিক্রেতার ভুল পরামর্শে কৃষকের মাথায় হাত। ধান ক্ষেতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দিলে গ্রাম্য কীটনাশক ব্যবসায়ীর পরামর্শে ঔষধ কিনে দুই বিঘা জমিতে স্প্রে করে কপাল পড়ালেন বর্গাচাষী রেজাউল রহমান স্বপন। সেই কীটনাশক প্রয়োগের পরে পুড়ে যায় ক্ষেতের সব ধান। ঘটনাটি ঘটেছে, নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার হরিনচড়া ইউনিয়নের বাবুরডাঙ্গা গ্রামে। এ বিষয়ে রেজাউল রহমান স্বপন বলেন, 'গত শনিবার (১০ এপ্রিল) বাবুরডাঙ্গার আবুল হাসেমের(হাস্যা) সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে জমিতে মাজরা পোকার আক্রমন দেখা দেয়ার বিষয়টি জানালে হাস্যা আমাকে এরোক্সন ২০এসএল ওষধটি জমিতে স্প্রে করতে বলে। তার কথা মতো তার দোকান থেকে ঔষধ কিনে ড্রামে মিশিয়ে জমিতে স্প্রে করি। দুইদিন পর দেখি সবুজ রঙ্গের পাতাগুলো পুড়ে গেছে। পড়ে অন্য একজনের মাধ্যমে জানতে পারি মাজরা পোকা দমনের ঔষধ না দিয়ে ঘাস মারার ঔষধ দিয়েছে দোকানদার। সুদের উপর ও এনজিও কাছে লোন নিয়ে পাচঁ বিঘা জমিতে ধান চাষ করেছি। বিষয়টি হরিনচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইসলামকে জানালে তিনি মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখে উক্ত কীটনাশক ব্যবসায়ীর ছত্রিশ মণ ধান জড়িমানা করেন।' গ্রামবাসীর অভিযোগ, এসব অশিক্ষিত সার ও কীটনাশক ব্যবসায়ীরা কিভাবে যে দোকান খুলে বসেছে, নেই তাদের প্রশিক্ষন, শিক্ষাগত যোগ্যতা, চিকিৎসা দেবার নামে ভুল চিকিৎসা দেয় তারা। কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের(বিএস) ফোন করে চিকিৎসা বা পরামর্শ চাইলে তারা ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে আর আসেন না। এদিকে আবুল হাসেমের(হাস্যা) সার, বীজ ও কীটনাশকের দোকানে গিয়ে দেখা গেল, দোকানের একটি অংশে গালামাল ও আর একটি অংশে সার, বীজ ও কীটনাশক। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসা করে আসছে। এ ব্যাপারে ডোমার উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান আজ শনিবার (১৭ এপ্রিল) মুঠোফোনে জানান, 'ক্ষেত পুড়ে যাওয়ার বিষয়টি যেনেছি এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছি।'

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: