ঝড়ে ময়মনসিংহের তিন উপজেলায় ৮ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি

প্রকাশিত: ২০ এপ্রিল ২০২১, ০৫:৫২ এএম
আবদুল কাদির, গৌরীপুর(ময়মনসিং) থেকে: কালবৈশাখী ঝড়ে আবহাওয়ার তাপমাত্রা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ গৌরীপুর ও নান্দাইল এই তিন উপজেলায় কৃষকের প্রায় আট কোটি টাকার ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এ তিনটি উপজেলায় প্রায় ষোল-হাজার কৃষকের চলতি বোরো ধান বিনষ্ট হয়ে গেছে। গত ৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় এ সব উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় কালবৈশাখী ঝড়। এর পরদিন হঠাৎ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় কৃষকের শত শত হেক্টর জমির বোরো ধানের শীষ সাদা বর্ণ ও চিটা হয়ে যায়। এ বোরো ধান বিনষ্টের জমির পরিমাণ দিন দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এদিকে স্বপ্নের বোরো ফসল নষ্ট হওয়ায় খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কায় স্থানীয় কৃষকদের ঘরে ঘরে কান্নার রোল পড়েছে। প্রায় ষোল-হাজার কৃষকের প্রায় ৮ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। একদিকে করোনার ছোবলে সর্বশান্ত অন্যদিকে প্রয়োজনীয় ফসল ঘরে তুলতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। তিনটি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তরা জানান, কালবৈশাখী ঝড়ে তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের চেয়ে অধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আগাম জাতের বোরো ধানের শীষ বিনষ্ট হয়ে সাদা বর্ণ হয়ে গেছে। এ হিসেবে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদের লক্ষ মাত্রা ছিল ২০ হাজার ২৮০ হেক্টর হেক্টর। তার মধ্যে শতভাগ ক্ষতি ২১৫ হেক্টর ও ৫৫০ হেক্টর জমির ধান আংশকি ক্ষতি হয়েছে। টাকার পরিমাণ ৩ কোটি ২০ লাখ টাকা। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক প্রায় ৬ হাজার। অন্যদিকে, গৌরীপুর উপজেলার মাওহা, সহনাটি, বোকাইনগর, রামগোপালপুর ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি কৃষকের বোরো ফসল বিনষ্ট হয়েছে। ১৬০০ কৃষকের আনুমানিক ১৬০ হেক্টর বোরো ধান বিনষ্টের খবর পাওয়া গেছে। লক্ষমাত্রা ছিল ২০ হাজার ৭১৫ হেক্টর। টাকার পরিমাণ এক কোটির ওপরে। এ ছাড়া নান্দাইল উপজেলায় সাড়ে ৬ হাজার কৃষকের ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ হেক্টর। লক্ষমাত্রা ছিল ২২ হাজার ১৫ হেক্টর। টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য কৃষকদের বোরো ধান ক্ষেতে সার্বক্ষণিক পানি ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তারা জানিয়েছেন সরকার ইতিমধ্যে এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়ে চিঠি দিয়েছেন। তাছাড়া করোনার এই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা হয়ে পড়েছে হতাশা গ্রন্থ।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: