কী ঝামেলায় পড়েছিল মেয়েটি, নানা রহস্য !

প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২১, ০৭:৪৭ পিএম
রাজধানীর গুলশানের ফ্ল্যাট থেকে এক কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের পর নানা আলোচনা তৈরি হয়েছে। তাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে দেশের এক শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ী গ্রুপের এমডির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মেয়েটির বোন এ মামলা দায়ের করেছেন। মোসারাত জাহান মুনিয়া নামের মেয়েটি ঢাকার একটি কলেজে পড়তেন। ২১ বছর বয়সী মেয়েটি গুলশানের ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। তার বাড়ি কুমিল্লা শহরে। তার পরিবার সেখানেই থাকে। তার লাশ ‘সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়’ পাওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে। গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার নাজমুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের সম্পর্ক ছিল। তিনি মোসারাতের ফ্ল্যাটে যাতায়াত করতেন বলেও আমরা জানতে পেরেছি। পুলিশ সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোসারাতের ব্যবহৃত ডিজিটাল ডিভাইসগুলো জব্দ করেছে। রাতেই গুলশান থানায় মেয়েটির বোন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা সূত্রে জানা যায়, মেয়েটির সঙ্গে শীর্ষ ওই ব্যবসায়ীর সম্পর্ক দুই বছরের। ওই ব্যবসায়ী এক বছর মেয়েটিকে বনানীর একটি ফ্ল্যাটে রাখেন। গত মার্চে গুলশানের এই ফ্ল্যাটে ওঠেন মেয়েটি। ফ্ল্যাটের মাসিক ভাড়া এক লাখ টাকা। অগ্রিম দেয়া হয়েছে দুই লাখ টাকা। এরই মধ্যে দুই মাসের ভাড়া পরিশোধ করা হয়েছে। গত ২৩শে এপ্রিল একটি ইফতার পার্টি হয় এই বাসায়। ওই পার্টির ছবি ফেসবুকে আপলোড করা নিয়ে মেয়েটির সঙ্গে ওই ব্যবসায়ীর মনোমালিন্য হয়। পরে মেয়েটি তার বোনকে ফোন করে জানান, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এই ফোনের পর কুমিল্লা থেকে সোমবার বিকেলে ঢাকায় আসেন ওই তরুণীর বোন। গুলশানের ফ্ল্যাটটির দরজা ভেতর থেকে বন্ধ পান তিনি। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে শোবার ঘরে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান। মেয়েটি কীভাবে মারা গেলেন অথবা কেন আত্মহত্যা করলেন তা নিয়ে নানা রহস্য তৈরি হয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে তার একটি ফোনালাপ সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। তিনি অন্তঃস্বত্তা ছিলেন কি-না সে প্রশ্নও ওঠেছে। তার ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর অনেক প্রশ্নের জবাব মিলতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। সুত্র: মানবজমিন

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: