শ্যাম্পু নিয়ে দর কষাকষির একপর্যায় দাম কম না রাখায় কারণে মোটরসাইকেলের অবৈধ পার্কিং মামলা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ সার্জেন্ট শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এমনি আশ্চর্যকর ঘটনা ঘটেছে বরিশাল নগরের বান্দ রোডে।
মোটরসাইকেলের আশপাশে আরও অন্তত অর্ধশত মোটরসাইকেল একইভাবে পার্কিং করা থাকলেও সেগুলোর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে ওই ফার্মেসি মালিকের মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অন্যান্য ফার্মেসি মালিকরা। এ বিষয়ে খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (ট্রাফিক) মো. জাকির হোসেন মজুমদার।
শনিবার (০৮ মে) সকালে বান্দ রোডের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে হাওলাদার ফার্মেসিতে নিজোডার নামে একটি শ্যাম্পু কিনতে যান ট্রাফিক সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। ফার্মেসি মালিক খলিলুর রহমান শ্যাম্পুর দাম ২৩০ টাকা চান। সার্জেন্ট শহীদুল দাম কমিয়ে রাখার আবদার করলে দোকানি ১০ টাকা দাম কমিয়ে দেন। কিন্তু এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে সার্জেন্ট শহীদুল দোকানির কেনা দামে শ্যাম্পু নিতে চান। এ নিয়ে বাদানুবাদের একপর্যায়ে শেষ পর্যন্ত ২২০ টাকায় শ্যাম্পু নিয়ে যাওয়ার সময় ফার্মেসি মালিক খলিলুর রহমানকে দেখিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ ওঠে সার্জেন্ট শহীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার জের ধরে রাতে হাওলাদার ফার্মেসীতে গিয়ে ফার্মেসীর সামনে পার্কিং করা মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চায় সার্জেন্ট শহীদুল ইসলাম। অবৈধ পার্কিংয়ের অভিযোগে খলিলুর রহমানের মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৩ হাজার টাকার মামলা দেন।
মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ব্যক্তি আক্রোশে কারও বিরুদ্ধে মামলা দেয়া অন্যায়। ব্যক্তিগত রাগ অনুরাগ-অভিমান পুলিশ বিভাগের উপর চাপিয়ে দেয়া ঠিক নয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাকে ভৎর্সনা করা কিংবা প্রয়োজনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন তিনি।
পাঠকের মন্তব্য: