শেষ মুহুর্তে মার্কেটে উপচে পড়া ভিড়, স্বাস্থ্যবিধির বালাই নেই

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২১, ০৯:৩০ পিএম
করোনা মহামারী রোধে কয়েক দফায় আগামী ১৬ মে পর্যন্ত সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। এরই মধ্যে শর্তসাপেক্ষে মার্কেট খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় হয়। তবে করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব মেনে বেচাবিক্রি করতে বলা হলেও তা কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। করোনার মধ্যেও ঈদের পূর্ব মুহুর্তে দুপুরের দিকে রাজধানীর নিউমার্কেটে মানুষের ঢল নেমেছে। মানুষের স্রোতের কারণে আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটও দেখা গেছে। তীব্র ভিড় উপেক্ষা করে কেনাকাটা করছেন সবাই। অনেকের মুখেই মাস্ক নেই, নেই শারীরিক দূরত্ব। আজ সোমবার (১০ মে) রাজধানীর নিউমার্কেট, নিউ সুপার, চন্দ্রীমা, চাঁদনি চক, নূর ম্যানশন, গাউছিয়া ও নুর জাহান মার্কেটে এমন চিত্র দেখা যায়। শুধু মার্কেটই নয়, ফুটপাত, ফুটওভার ব্রিজও মানুষের ভিড়। ব্যক্তিগত গাড়ি ও রিকসায় যানজট লেগে যাচ্ছে প্রতিটি সড়ক। সরকারি নির্দেশনা মানছেন না অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও ক্রেতা। করোনা মহামারী উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নামছে মার্কেটগুলোতে। মানুষের ভিড়ে তিল ধারণের জায়গা নেই শপিংমলগুলোতে। শারীরিক দূরত্বসহ করোনা সতর্কতা অমান্য করছেন অনেক ক্রেতা। ফুটপাত ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। ক্রেতা ও বিক্রেতা একে অন্যের গায়ের সঙ্গে গা ঘেঁষে কাপড়, জুতা, টি-শার্টসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেচাকেনা করছেন। স্বাভাবিক সময়ের মতোই চলছে কেনাকাটা। নিউ মার্কেটের ব্যবসায়ী মো. বাবু বলেন, ঈদের আগে শেষ মুহুর্তে ভিড় একটু বেশি। মাঝে মাঝে আমাদের নিজেদেরও ভয় লাগছে। আমরা চাই ক্রেতারা সামাজিক দূরত্ব মানেই আসুক। তবে আমরা চেষ্টা করি সবাইকে সচেতন করতে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কার্যক্রম চালাতে। মো. সাদ্দাম হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, লকডাউন দেওয়ায় সব মার্কেট বন্ধ ছিল। তখন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রগুলো কেনা হয়নি। এখন সুযোগ পেয়ে করোনার মধ্যে মার্কেটে আসছি। আরেক ক্রেতা সালমান বলেন, লকডাউনের মধ্যে ঘরের বাইরে তেমন বের হইনি। যেহেতু এখন লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, তাই একটু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে মার্কেটে এসেছি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: