ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তাণ্ডব: কাসেমীর স্বীকারোক্তিতে কাদের নাম?

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২১, ১১:২৪ পিএম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের তাণ্ডবের ঘটনায় গত ৯ মে আদালেত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন হেফাজত নেতা মুফতি আব্দুর রহিম কাসেমী। তাণ্ডবে নিজের ‘সম্পৃক্ততার’ পাশাপাশি ‘ইন্ধনদাতাদের’ নাম তিনি বলেছেন। তিনি কাদের নাম বলেছেন- এটিই এখন আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে। পুলিশের একাধিক সূত্র মতে, কে কোথায় হামলার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন সেসব বিষয় বলেছেন কাসেমী। তবে তারা কারা এ বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাহিদ হোসেনের আদালতে কাসেমী ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আব্দুর রহিম কাসেমী হেফাজতে ইসলামের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ২৩ এপ্রিল তিনি সংগঠনের সকল পদ থেকে পদত্যাগ করেন। গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তাণ্ডবের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে জড়িতদের শাস্তিও দাবি করেন তিনি। এর আগে গত ৪ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর থেকে পুলিশ তাকে আটক করে। পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় কাসেমীকে। গত ২৭ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা পাঁচ হাজার জনকে আসামি করে ওই মামলাটি দায়ের করেন। একাধিক সূত্র জানায়, তাণ্ডবের ঘটনায় দেয়া স্বীকারোক্তিতে কাসেমী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। জেলার শীর্ষ নেতাদের কার নির্দেশে কোথায় হামলা হয় সেসব বিষয়ও তিনি বলেছেন। পুলিশ বিষয়গুলো যাচাই-বাছাই করে দেখছে। অভিযুক্তদের বিষয়ে প্রমাণসহ পেলে যেকোনো সময় গ্রেপ্তারের আওতায়ও আসতে পারেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা পুলিশের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদেরকে জানান, তাণ্ডবের ঘটনায় আব্দুর রহিম কাসেমী দায় স্বীকার করেছেন। ২৬ মার্চ কাউতলি মোড় থেকে মৎস্য অফিস এবং শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে যারা বিভিন্নভাবে ইন্ধন ও উসকানি দিয়েছেন এবং সহযোগিতা করেছেন, জবানবন্দিতে তাদের নাম তিন বলেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: