দুই তরুণীকে বাসায় আটকে রেখে দেহ ব্যবসায় বাধ্য, গ্রেফতার ৬

প্রকাশিত: ১৮ মে ২০২১, ১১:১৬ পিএম
রবিউল হোসেন রবি, চট্টগ্রাম থেকে: চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানা এলাকায় চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুই তরুণীকে বাসায় আটকে রেখে যৌন ব্যবসা করানোর অভিযোগে ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই দুই তরুণীকেও উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৭ মে) রাতে মোগলটুলীর কাটা বটগাছ মোড়ের জাফর সওদাগরের বিল্ডিংয়ের তৃতীয় তলার আক্তারের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতাকৃতরা হলেন— মো. আক্তার হোসেন (৬৩), আবু হোসেন টিপু (২৯), মো. মজিবুল বশর রাজু (২০), মো. আলমগীর হোসেন আলম (৩৫), মো. ইকবাল হোসেন জুয়েল (৩১) ও মো. বেলাল খান (৩১)। ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বিডি২৪লাইভকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গার্মেন্টেসে চাকরির চাকরি হারানো ১৮ বছরের এক তরুণীকে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত ১১ মে আক্তারের কাছে নিয়ে যায় আকাশ নামের এক ব্যক্তি। এরপর ওই তরুণী জানতে পারে তাকে আক্তারের কাছে ২০ হাজার টাকা দিয়ে বিক্রি করে দিয়েছে আকাশ। এরপর ওই তরুণীকে আটকে রেখে জোর করে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে গ্রেফতারকৃতরা।’ ‘একই বাসায় ১৯ বছরের আরেক তরুণীকেও আটকে রেখে যৌন ব্যবসায় বাধ্য করা হচ্ছিল; যাকে গত ১৪ এপ্রিল আক্তারের কাছে বিক্রি করে শুক্কুর নামের একজন। ওই বাসায় গত ১৫ মে রাতে গিয়ে তিনটি মোবাইল খুঁইয়ে বসেন টিপু সাহা নামের একজন সুইপার। এরপর মোবাইল ফিরে পেতে গতকাল সোমবার রাতে বন্ধুদের নিয়ে ওই বাসায় যায় টিপু। পাশাপাশি তিনি ঘটনাটি পুলিশকেও জানান।’— বলেন ওসি। ওসি আরও বলেন, ‘এরপর পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার শিকার দুই তরুণীকে উদ্ধারের পাশাপাশি ৬ জনকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতার টিপুর কাছ থেকে একটি এবং জুয়েলের কাছ থেকে একটিসহ দুটি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। ওই মোবাইল দুটি টিপু সাহার কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছিল।’ এ ঘটনায় টিপু সাহা ও ভুক্তভোগী ১৮ বছরের তরুণী বাদী হয়ে দুটি মামলা করেছেন। এর মধ্যে টিপুর মামলায় ইকবাল, আবু হোসেন, মজিবুল ও আলমগীরকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তরুণীর করা মামলায় ওই ৬ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। একই মামলায় আকাশ ও শুক্কুর নামে দুইজন পলাতক আছে বলেও জানান ওসি মহসীন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: