ঠাকুরগাঁওয়ে দিনদিন বাড়ছে অনলাইন উদ্যোক্তা

প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২১, ০৯:৫৫ পিএম
ঠাকুরগাঁওয়ে বাড়ছে অনলাইন উদ্যোক্তা।এতে করে জেলায় কমছে বেকারত্বের হার।ধারণা করা হচ্ছে দেশ সহ সারা বিশ্বে এক বছরেরও বেশী সময় করোনার প্রাদুর্ভাবে জনজীবন অতিষ্ঠ হবার সাথে সাথে প্রভাব পড়েছে ব্যাবসা বাণিজ্যে। এতে করে অনেকেই অনেক কষ্টে জীবন যাপন করছেন।অপরদিকে লকডাউনের কারণে এর প্রভাব পড়েছে মারাত্মক ভাবে। কিছু শিক্ষিত যুবক-যুবতী এই বিরুপ পরিবেশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে শুরু করেছেন অনলাইন ব্যাবসা। এতে করে একদিকে যেমন বেকারত্বের হার কমছে অপর দিকে কাস্টমারদের বাইরে গিয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস না আনায় কমছে করোনার ঝুঁকি। ঠাকুরগাঁওয়ে অনলাইন উদ্যোক্তারা বিভিন্ন গ্রুপ,পেজের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছেন তাদের ব্যাবসা। এমনি কয়েকটা গ্রুপ ও পেজ হলো প্রেয়সীর সাজ,ঠাকুরগাঁও অনলাইন উদ্যোক্তা পরিবার,স্বপ্ন বুননসহ আরও কিছু নামে।বিভিন্ন গ্রুপ ও পেজের মাধ্যমে প্রায় ১০০ জন উদ্যোক্তা বিক্রি করছেন কাপড়,খাবার,আসবাবপত্র সহ আরও কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস। আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা আঞ্জুমান আরা জানান,করোনার কারণে প্রয়োজনীয় জিনিস আনতে ঘরের বাইরে যেতে ভয় লাগে।তাই অনেক জিনিসই সামান্য কিছু সার্ভিসচার্জ দিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে বাসায় আনিয়ে নেই। হাজীপাড়ার সোবহান জানান,অনলাইনের মাধ্যমে জিনিস পাওয়া অনেক সহজ,ঝুঁকি ও নেই।তাই প্রায়ই আমি অনলাইনের মাধ্যমে জিনিস অর্ডার করি। এদিকে একজন অনলাইন উদ্যোক্তা আফসানা শিমু বলেন,আমি বর্তমানে ম্যাজিক পিলো,ম্যাজিক মগ,জন্মদিনের কেক,পাঞ্জাবি নিয়ে কাজ করছি।আল্লাহর রহমতে গ্রাহকদের সাড়া পাচ্ছি ব্যাপক ভাবে।কাজ করতে করতে অনেক সময় নির্ঘুম রাত কেটে যায়। খালেদিনা সরকার জিমি ও তার স্বামী আনিসুর রহমান জনি জানান,করোনার কারণে ঠাকুরগাঁও আমাদের বাজার মার্কেটে বুনন নামের দোকানে দোকানদারীতে প্রভাব পড়েছিল।তাই আমরা সিদ্ধান্ত নেই দোকানের পাশাপাশি অনলাইন ব্যাবসা চালু করবো।এখন আমরা বিরিয়ানি,বিভিন্ন রকমের মিষ্টি, আচারসহ যে যেটাই অর্ডার করুক গ্রহণ করার চেষ্টা করছি।মাশাল্লাহ এখন আমরা অনেক ভালো আছি। অনলাইন উদ্যোক্তারা মনে করেন যারা ঘরে বেকার বসে আছে,চাইলেই তারা অনলাইন উদ্যোক্তা হয়ে তাদের বেকারত্বের সমস্যা দূর করতে পারেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: