এবার হাঁড়ির খবর দিলেন নুসরাতের স্বামী

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২১, ০৫:০৪ পিএম
অভিনেত্রী নুসরাত জাহান বিয়ে-বিচ্ছেদ নিয়ে বুধবার (৯ জুন) দীর্ঘ একটি লিখিত বিবৃতি দিয়েছেন। তার ২৪ ঘণ্টা না পেরুতেই হাঁড়ির খবর জানালেন নুসরাতের ‘কথিত’ স্বামী নিখিল জৈন। বৃহস্পতিবার (১০ জুন) এ বিবৃতি দেন তিনি। যাতে উঠে এসেছে নানা প্রশ্নের উত্তর। বিবৃতিতে নিখিল জৈন বলেন—‘প্রেমে পড়ে আমি নুসরাতকে বিয়ের প্রস্তাব পাঠাই আর তা উচ্ছ্বসিত হয়ে গ্রহণ করেছিল। ২০১৯ সালের জুন মাসে তুরস্কের বোদরুমে আমাদের ডেস্টিনেশন বিয়ে হয়। তারপর কলকাতায় রিসেপশন। আমরা স্বামী-স্ত্রীর মতোই আচরণ করতাম। পরিবার, বন্ধুবান্ধবদের সামনেও দম্পতি হিসেবেই দাঁড়াতাম। সমাজের চোখে আমরা স্বামী-স্ত্রী ছিলাম।’ ২০১৯ সালের ১৯ জুন তুরস্কে ধর্মীয় রীতি মেনে বিয়ে করেন নিখিল-নুসরাত। কলকাতায় ফিরে বিশেষ আইনে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করার কথা ছিল। কিন্তু তা করেননি। কী কারণে বিয়ে রেজিস্ট্রি করেননি এই যুগল? এই প্রশ্ন অনেকের। এ বিষয়ে নিখিল বলেন, ‘২০১৯ সালের জুন মাস থেকে ২০২০ সালের নভেম্বরের ৫ তারিখ পর্যন্ত আমরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবেই থেকেছি। এই সময়ে বহুবার নুসরাতকে স্পেশাল ম্যারেজ অ্যাক্ট, ১৯৫৪-এর অধীনে বিয়ে রেজিস্ট্রার করতে বলেছিলাম। কিন্তু নুসরাত বারবার তা এড়িয়ে গেছে।’ এর আগে নুসরাত দাবি করেন—তার সমস্ত জিনিসপত্র নিখিলের বাড়িতে রয়েছে। এমন দাবি নসাৎ করে নিখিল জানান, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে এক সিনেমার শুটিংয়ের সময় (এসওএস কলকাতা) আচমকা নুসরাতের আচরণ বদলে যায়। গত বছর ৫ নভেম্বর নিখিলের আলিপুরের বাড়ি ছেড়ে নিজের ব্যাগ গুছিয়ে বালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে শিফট করেন নুসরাত। বিষয়টি উল্লেখ করে নিখিল বলেন, ‘নুসরাত নিজের সমস্ত মূল্যবান সম্পত্তি, কাগজ-পত্র গুছিয়ে নিয়ে গেছে। শিফট করে যাওয়ার পর নুসরাতের জরুরি কাগজপত্র (যেমন আইটি রির্টানের ফাইল) তার কাছে পৌঁছে দিয়েছি।’ বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়নি, এজন‌্য অ্যানালমেন্ট করেই আলাদা হতে চান নিখিল। নিয়ম অনুযায়ী, নুসরাতকে আদালতে গিয়ে বলতে হবে নিখিলের সঙ্গে তার আর কোনো সম্পর্ক থাকবে না। এজন‌্য গত ৮ মার্চ আলিপুর জজ কোর্টে নিখিল জৈন দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছেন। আগামী ২০ জুলাই শুনানির দিন ধার্য হয়েছে।  

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: