রাণীশংকৈলে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১১ জুন ২০২১, ১১:৪৭ পিএম
ঠাকুরগাঁও রাণীশংকৈল উপজেলায় শুক্রবার (১১ জুন) নেকমরদ ইউপির করনাইট কুমরগঞ্জ গ্রামের একটি আম গাছ থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে ঐ গ্রামে বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে তার সস্ত্রীক সাথে নিয়ে শুশুর বাড়ীতে বেড়াতে আসেন। নিহত ব্যক্তি উপজেলার দূলর্ভপুর বড়পুকরা গ্রামের জাহেরুল ইসলামের ছেলে আসাদ(২২)। তার মৃত্য নিয়ে ঐ গ্রাম জুড়ে এক রহস্যের কল্পনা জল্পনা চলছে। কেউ বলছে হত্যা, কেউ বলছে আত্নহত্যা। স্থানীয়রা জানায়, গত ২৯ মে আনুষ্ঠানিকভাবে নিহত যুবকের সাথে বিয়ে হয় এ গ্রামের জাহিরুলের মেয়ে জুই(১৮) এর সাথে। বিয়ের পরে সস্ত্রীক শুশুর বাড়ীতে মেহমান আসেন। মেহমান আসার পরের দিন তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। থানা পরিদর্শক এস এম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন, লাশটি উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল তৈরী করা হয়েছে। লাশের ময়নাতদন্ত করা হবে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই মৃত্যুর কারণ উদঘাটন হবে। তাছাড়া তার খালাতো ভাই শাহাজত বাদী হয়ে থানায় একটি ইউডি মামলা করেছে। ঘটনাটি আমার তদন্ত করছি। জিঞ্জাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে ছেলের শুশুর জাহেরুল (৪০) শাশুড়ি মেরিনা (৩০) স্ত্রী জুই (১৮) ও শ্যালক মিলনকে (১৫) থানায় নেওয়া হয়েছে। নিহত যুবকের চাচাতো নানী শাশুড়ী প্রতিবেশী করিমন (৫০) জানান, বৃহস্পতিবার (১০ জুন) বিকেলে নাতনী জামাই আসে তার এক খালাতো ভাইকে নিয়ে। পরে আবার তাদের আরেক আত্নীয়ও মেহমান এসে রাতে খাওয়া দাওয়া করে খালাতো ভাইসহ বাড়ী চলে যায়। পরে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। তিনি বলেন, সকালে জামাই পাওয়া যাচ্ছে না শুনে আমি তাদের বাড়ীতে এসে আমার নাতনীর সাথে কথা বলি সে আমাকে, জানায় ফজরের নামাজের আগে আমি বমি করতে দরজা খুলে বের হলে সে, ঘর থেকে জুতা ছাড়াই বের হয়ে বাসার পশ্চিম দিকে দৌড় দেয়। তার এমন কান্ড দেখে আমি আমার মা বাবাকে ডেকে তুলি। তারা ঘুম থেকে থেকে উঠতেই সে লাপাত্তা হয়ে পড়ে। এর পর তাকে খুজতে খুজতে ভোর হয়ে যায়। খোজার এক পর্যায়ে বাড়ীর উত্তর সাইডে ৫শত গজ দুরে এক আম গাছের চিকন ডালের সাথে তার পড়নের লুঙি দিয়েই ঝুলতে থাকতে দেখা গেছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: