বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) জৈব সুরক্ষা বলয় ভেঙে কিছু দিন আগেই বিতর্কের জন্ম দেন সাকিব আল হাসান। এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারও বিতর্ক তৈরি করলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অপ্রীতিকর এক ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার (১১ জুন) আবাহনী লিমিটেড বনাম মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচে মেজাজ হারালেন সাকিব আল হাসান। আম্পায়ারের উপর রাগ হয়ে প্রথমে স্টাম্পে লাথি মারলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এরপর আম্পায়ারের সামনে থেকে তিনটি স্টাম্পই তুলে নিয়ে সজোরে আছাড় মারলেন মোহামেডানের অধিনায়ক।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে এই ঘটনাবহুল ম্যাচটিতে শেষ পর্যন্ত সাকিবের মোহামেডান জিতেছে ৩১ রানে। সেই জয়-পরাজয় ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছেন সাকিব। বিতর্কিত আচরণের পর নিজের ভেরিফাইড পেজে ক্ষমাও চেয়েছেন সাকিব আল হাসান। এছাড়া ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন আবাহনী কোচ ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছেও। ড্রেসিংরুমে দুজনের হাসিমুখে আলিঙ্গনাবদ্ধ হয়ে ঝামেলা মীমাংসা করে ফেলেছেন বলে জানান আবাহনীর ম্যানেজার শেখ মাসুদ ইকবাল। এ ছাড়া খেলাশেষে আম্পায়ারদের সঙ্গেও হাসিমুখে কথা বলতে দেখা গেছে তাকে।
তবে খেলার মাঠে মেজাজ হারিয়ে স্টাম্পে লাথি ও আছাড় মারার ঘটনায় শাস্তি তাকে পেতেই হবে। দুই আম্পায়ার ও রেফারির প্রতিবেদন যাবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের কর্তৃপক্ষ সিসিডিএম। বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম প্রধান কাজী ইনাম আহমেদ জানান, প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শাস্তি নির্ধারিত হবে, ‘নিয়ম ভাঙলে কী হয় সেটা সবাই জানে। সে প্রতিবেদনই আসুক, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করবো।’
শাস্তি কী হবে, তার অনেকটাই নির্ভর করছে দুই আম্পায়ার ইমরান পারভেজ ও মাহফুজুর রহমানের রিপোর্টের ভিত্তিতে। আম্পায়াররা যদি আচরণবিধির লেভেল টু লঙ্ঘনের অভিযোগ আনেন, তাহলে শাস্তি হবে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা অথবা এক ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা ও আর্থিক জরিমানা। আর যদি লেভেল ফোর ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়, তাহলে নিষেধাজ্ঞা হবে কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের।
পাঠকের মন্তব্য: