পরীমণির পরিণতির মূল হোতার পরিচয় জানা গেল

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১, ০৬:১৯ এএম
ঢাকা বোট ক্লাবে পরীমনি কাণ্ডে আলোচনায় আসেন তুহিন সিদ্দিকী অমি। পরীমনির দায়ের করা মামলায় দুই নম্বর আসামি তিনি। এ ছাড়া এই নায়িকাকে ফাদেঁ ফেলতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্য একাধিক সূত্র জানায়, ক্লাব পাড়ায় অমিও একজন পরিচিত মুখ। তার বাবা তোফাজ্জল হোসেন একজন নির্মাণ শ্রমিক ছিলেন। অনেক বছর ধরে মালয়েশিয়া সিঙ্গাপুরে তিনি কাজ করে ঢাকার আশে পাশে জমি ক্রয় করেন। বর্তমানে তার অঢেল সম্পদ রয়েছে। একমাত্র সন্তান হওয়ায় এর উত্তরাধিকারী অমি। অমি ৭/৮ বছর আগে রিক্রুটিং এজেন্সির মালিক হন। এরপর দুবাইসহ বিভিন্ন দেশে জনশক্তি রপ্তানি করেন। এ সুযোগে আদম পাচার করে প্রচুর অর্থ আয় করেন। এই অর্থের দাপটে অমি নানা অবৈধ কাজে জড়িয়ে পড়েন। ঢাকার উত্তরা ও আশকোনায় তাদের একাধিক বাড়ি ও প্লট রয়েছে। দক্ষিণখানে রয়েছে তার বালাখানা। এলাকায় এক নামে তাকে সবাই চেনে। এক সময় অমি ঢাকা মহানগর যুবদল উত্তরের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাবাও বিএনপির রাজনীতি করতেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর তারা ভোল পাল্টে ফেলেন। অভিযোগ আছে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে শাসক দলের নেতাদের ম্যানেজ করতেন তারা। জানা গেছে, দক্ষিণখানের আশকোনা ও টাঙ্গাইলের কটিয়ায় বিশাল অর্থের মালিক তারা। আশকোনায় দেড় বিঘা জমির ওপর সিঙ্গাপুর ট্রেনিং সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। তাছাড়া আশকোনা হুদা মসজিদ রোডে ৫ কাঠার ওপর ৬ষ্ঠ তলার আলিশান বাড়ি, এ বাড়ির সংলগ্ন ৫ কাঠা জমি, দক্ষিণখানের দৌবাইদ এলাকায় দেড় বিঘার ওপর সিঙ্গাপুর নামে আরেকটি ট্রেনিং সেন্টার, উত্তরখানের হেলান মার্কেট সংলগ্ন বিশাল গেস্ট হাউজ, টাঙ্গাইলের কটিয়ার বাইপাশে বিশাল অট্টালিকা, রেস্টুরেন্ট, মসজিদ, মাদ্রাসা ও হাসপাতাল এবং ঢাকার উত্তরার ৪ নম্বর সেক্টরে দুটি আলিশান ফ্ল্যাট রয়েছে। অমি বেশিরভাগ সময় সিঙ্গাপুর, দুবাই ও লন্ডনে আসা-যাওয়া করতেন। এমনকি লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতেন বলে এলাকায় প্রচার আছে। অমি এসএসসির গণ্ডিও পেরোতে পারেননি। এক সময় আদম তোফাজ্জলের কিছুই ছিল না। স্থানীয়রা বলছেন, সিঙ্গাপুরে ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করতেন। অথচ তিনি এখন কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক। সোমবার পরীমনি সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় নাসির উদ্দিন ও অমিসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। এ ছাড়া উত্তরার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেফতারের সময় মাদক উদ্ধার করা হয়। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় অমি ও নাসিরকে মঙ্গলবার ৭ দিনের রিমান্ডে পায় পুলিশ। এ ছাড়া তাদের সঙ্গে থাকা তিন নারীকে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: