খালেদা জিয়ার অসুস্থের বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পরীমণির বিষয়টি আনা হয়েছে, দাবি ফখরুলের

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ, তাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ' খালেদা জিয়ার অসুস্থের বিষয়টিকে ধামাচাপা দিতে পরীমণির বিষয়টি আনা হয়েছে। তার (খালেদা জিয়া) চিকিৎসার পর্যাপ্ত যে ব্যবস্থা দরকার সেই ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা দাবি করছি।' তিনি বলেন, 'আজকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন অত্যন্ত অসুস্থ তখন এই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্য পরীমণির বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। এই সরকার সব সময় একটা ঘটনার পেছনে আরেকটি প্রসঙ্গ দাঁড় করিয়ে দেয়।' পরীমণির মামলা প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, 'মামলা করা হয়েছে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার। আর আরেকটা অপরাধের দায় দিয়ে তাকে রিমান্ড নেয়া হয়েছে। এ ব্যপারটা আমি বুঝতে পারিনি। মামলা করলেন ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার, আর তাকে আর তাকে রিমান্ডে নেয়া হলো কি জন্য তার কাছে মাদক পাওয়া গেছে। আজকে অনেক প্রশ্ন আসছে তাহলে কি ক্ষমতাধারীরা যা চাইবেন তাই হবে? প্রশাসন কি যা চাইবেন তাই হবে? আজকে একটি লোকের পরিবারের কাছে, সমাজের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে তার সন্মান সব শেষ হয়ে যাবে।' আওয়ামী লীগ সরকারকে প্রতারক সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'জনগণের সাথে প্রতারণা করে আজকে ক্ষমতায় বসে আছে। আজকে সেই জন্য জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে, এই দানবকে সরাতে হবে। আমরা দুইটা দানব বলে আসছি, একটা করোনা অদৃশ্য আরেকটা সরকার আছে দানব সেটাও কিন্তু অদৃশ্য শক্তি নিয়েই চলে। সেই জন্য এই দুই দানবকে আমরা যদি সরাতে না পারি তাহলে এই জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।' কোন জাতি ততক্ষণ পর্যন্ত সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সেই জাতি নিজেরা জেগে না ওঠে; বলেন মির্জা ফখরুল। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'আসুন আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই দানবকে সরাতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন করি। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই এই সরকারের পতন ঘটাই।' এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, এছাড়া কবি আব্দুল হাই শিকদার, ড. রেজয়োন সিদ্দিকী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ ইলিয়াস খান প্রমুখ।