নওমুসলিম ফারুক খুনের বিচার চান ডাচ নেতা – দাবিটি মিথ্যা

প্রকাশিত: ২১ জুন ২০২১, ০৫:৩৪ পিএম
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার মৃত তয়ারাম ত্রিপুরার ছেলে বেরন চন্দ্র ত্রিপুরা। গত শুক্রবার (১৮ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মসজিদে নামাজ আদায়ের পর ঘরে ফেরার পথে ওত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে। জানা যায়, নওমুসলিম ফারুক ৬ বছর আগে ২০১৪ সালে খ্রিস্টান থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। মুসলিম হয়ে নাম পরিবর্তন করে রাখেন ওমর ফারুক। এরপর একটি মুসলিম এনজিওর মাধ্যমে ধর্মীয় বিধিবিধান শেখেন। নিজের পরিবারের অন্য সদস্যরাও ইসলাম গ্রহণ করেন। পাশাপাশি তার দাওয়াতে এলাকার আরও ১০-১২ জন মানুষ মুসলিম হন। এরপর নিজের জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেন তিনি। এলাকায় অন্য কোনো শিক্ষিত মানুষ না থাকায় নওমুসলিম ওমর ফারুক নিজেই এই মসজিদে ইমামতি শুরু করেন। এদিকে নওমুসলিম ফারুক খুন হবার পর থেকেই স্যোশাল মিডিয়া সহ অনলাইন পত্রিকাগুলোতে নানা রকম পোষ্ট দেখা যায় যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি খবর প্রকাশ হয় যেখানে উল্লেখ করা হয়, ‘নওমুসলিম ফারুক খুনের বিচার চান ডাচ নেতা’। যেখানে গত ২০ জুন জোরামের “Joram van Klavere” নামের ভুয়া ফেসবুক পেজটি থেকে নওমুসলিম ফারুক খুনের বিচার চেয়ে একটি পোস্ট করা হলে একাধিক অনলাইন পোর্টাল খবরটি লুফে নেয়। কিন্তু ২০১৯ সালে জোরাম নিজেই তার টুইটার থেকে তার নামে চলা ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টগুলোকে ভূয়া হিসেবে আখ্যায়িত করেন। এতে পরিষ্কার যে উক্ত ফেসবুক পেজটি তার নয়। ফলে ফ্যাক্টওয়াচ ভাইরাল শিরোনামে করা সংবাদটিকে গুজব হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ফ্যাক্টওয়াচ টিম অনুসন্ধান চালিয়ে দেখে সম্প্রতি দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত নওমুসলিম ওমর ফারুক হত্যা নিয়ে ডাচ নেতা জোরাম ভান ক্লাভেরেন কোন মন্তব্য করেনি। নেদারল্যান্ডের সাবেক সংসদ সদস্য ও নওমুসলিম জোরাম ভ্যান ক্লাভেরেন এর নামে ২০১৯ সালে তৈরিকৃত একটি ভুয়া ফেসবুক পেজ থেকে গত ২০ জুন ফারুক খুনের বিচার চেয়ে একটি পোস্ট করা হয়। তবে ৩০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে নওমুসলিম জোরাম তার ব্যক্তিগত টুইটার একাউন্ট থেকে উক্ত পেজটিকে ভুয়া চিহ্নিত করে জানান “আমি ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ব্যবহার করি না। আমার নাম এবং ছবি ব্যবহার করা সমস্ত অ্যাকাউন্টগুলো মূলত ভুয়া।” এতে পরিষ্কার বোঝা যায় যে, ফেসবুকে ফারুক খুনের বিচার চেয়ে কোন পোস্ট তিনি করেন নি। উল্লেখ্য, একসময় ইসলাম ধর্মের প্রবল বিরোধিতা করতেন এই ডাচ সাবেক সংসদ সদস্য। অবশেষে ইসলাম বিরোধী একটি বই লিখতে গিয়ে ২০১৮ সালে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি। * প্রতিবেদনটি প্রথম প্রকাশের পর সংশোধিত

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: