গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিক আবেদন সাড়ে ৩ লাখের বেশি

প্রকাশিত: ২৬ জুন ২০২১, ১১:৪৪ পিএম
ইমরান হুসাইন, জবি থেকে: গুচ্ছ ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন করেছেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ অর্থাৎ এ ইউনিটে আবেদন করেছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন শিক্ষার্থী, মানবিক বিভাগ অর্থাৎ বি ইউনিটে আবেদন করেছে ১লাখ ৭ হাজার ৯৩৩। এবং বানিজ্য বিভাগ সি ইউনিটে আবেদন করেছে ৫৭ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী। মোট ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। শনিবার (২৬ জুন) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফরিদ উদ্দীন আহমেদ মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এর আগে গত ১১ জুনের আলোচনা সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৯ জুন থেকে জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত তিনদিনে তিনটি বিভাগে যে ভর্তি পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু পরিস্থিতি বিবেচনায় সেটি স্থগিত করা হয়। এবং প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা ২৫ জুন পর্যন্ত নির্ধারন করা হয়। ২৫ জুন আমাদের প্রাথমিক আবেদন শেষ হয়েছে। কবে নাগাদ প্রাথমিক আবেদনের চুড়ান্ত লিস্ট করবেন এবং কত সংখ্যক শিক্ষার্থী চুড়ান্ত আবেদন করতে পারবে এ বিষয়ে তিনি বলেন,খুব দ্রুতই আমরা একটা আলোচনা মিটিং করবো এবং আলোচনার ভিত্তিতে এটা নির্ধারণ করবো পরিস্থিতি অনুযায়ী। এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য মোট তিনটি পরীক্ষা হবে। এর মধ্যে একটি পরীক্ষা হবে বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের জন্য, আরেকটি মানবিকের জন্য এবং অন্যটি ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য। এবারের গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন নিম্নোক্ত ২০ টি বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: