আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত চলমান বিধিনিষেধ শিথিল অবস্থার মেয়াদ পিছিয়েছে বলে যে গুঞ্জন ছড়িয়েছে তার কোনো ভিত্তি নেই বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। বুধবার (২১ জুলাই) রাতে গণমাধ্যেমে তিনি এ কথা বলেন। ফরহাদ হোসেন বলেন, বিধি-নিষেধ শিথিলতার মেয়াদ বাড়ছে না। ঈদের পরদিন বিধিনিষেধ শুরু হয়ে চলবে ৫ অগাস্ট পর্যন্ত। এই ১৪ দিন যদি আমরা বিধিনিষেধ মেনে চলি, তাহলে সংক্রমণের চেইনটা ভাঙতে পারবো।
ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার ঈদের আগে বিধিনিষেধ শিথিল করায় সব শ্রেণির মানুষ সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পরেছেন। পশুর হাটগুলোতে ভালোভাবে কোরবানির পশু কিনতে পেরেছেন। তিনি আরও বলেন, যারা ঈদের আগে ঢাকা এসেছিলেন তারাও সুন্দর পরিবেশে ঈদের পরদিনের মধ্যে বাড়ি ফিরতে পারবেন। এরপর দিন ২৩ জুলাই থেকে বিধিনিষেধ শুরু হবে।
কঠোর বিধিনিষেধকালীন এই সময়ে ওষুধ, খাদ্যপণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে যুক্ত মিল-কারখানা এবং কোরবানির পশুর চামড়া সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। তবে বন্ধই থাকছে গণপরিবহন, শপিংমল ও গার্মেন্টসসহ অন্যান্য শিল্প কারখানা। সোমবার (১৯ জুলাই) এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, খাদ্য ও খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন/প্রক্রিয়াজাতকরণ মিল-কারখানা, কোরবানির পশুর চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং ওষুধ, অক্সিজেন ও কোভিড-১৯ প্রতিরোধে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য উৎপাদনকারী শিল্প বিধিনিষেধের আওতার বাইরে থাকবে। কঠোর বিধিনিষেধ দিয়ে গত ১৩ জুলাই জারি করা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এ সময়ে সরকারি ও বেসরকারি অফিস, শিল্প কারখানাসহ সারাদেশে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকবে।
পাঠকের মন্তব্য: