প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা, মইনুলকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৩০ জুলাই ২০২১, ০৫:৪১ এএম
আবুল হোসেন, সিলেট থেকে: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের টুকইর (যথনাথা) গ্রামে দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩৫)সহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গোয়াইনঘাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন টুকইর (যথনাথা) গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে খসরুল ইসলাম। গোয়াইনঘাট থানায় দায়ের করা এজাহারে তিনি জানান, সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তুমপুর ইউনিয়নের টুকইর (যথনাথা) গ্রামে দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩৫) এর সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির মানুষ হিসেবে নিহত মইনুল ইসলামের সাথে সুসম্পর্ক ছিলো এবং তারা উভয় পরিবারের মধ্যে অবাধ চলাফেরা ছিলো। এরই সূত্র ধরে বুধবার (২৮ জুলাই) দিবাগত-রাতে সাফিয়া বেগমের বসতঘরে মইনুল ইসলাম প্রবেশ করে। সাফিয়া বেগমের বসতঘরে প্রবেশের পর সাফিয়া বেগম ও অন্যান্য আসামীরা দা দিয়ে মইনুল ইসলামকে জবাই করে হত্যা করে। নিহত মইনুল গাড়ে জবাইয়ের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। এছাড়াও মইনুলের আঙ্গুল ও হাতের কব্জিতেও কাটার আঘাত রয়েছে। অপর দিকে উক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত সাফিয়া বেগম জানায়, দীর্ঘদিন ধরে মইনুল ইসলাম তাকে উতোক্ত করতো এবং কু-প্রস্তাব দিতো। এ বিষয়টি নিয়ে মইনুল ইসলামের পরিবার ও গ্রামবাসীকে একাধিকবার অবহিত করলেও কোন সুরাহা হয়নি। সাফিয়া আরো জানায়,মইনুলের ভয়ে রাতে বাহিরে প্রকৃতিক কাজ সম্ভব হতোনা। ফলে বসতঘরে একটি বালতিতে প্রাকৃতিক কাজ সারতে হতো। এছাড়া প্রতিরাতে আমার ঘরে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়ে যেত মইনুল। তার ভয়ে একটি দা বালিশের পাশে রেখে আমাকে রাত্রি যাপন করতে হতো। প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার দিবাগত-রাতেও বালিশের পাশে দা নিয়ে আমি ঘুমিয়ে পড়ি। হঠাৎ রাত ১১ টার দিকে ঘরের ভেড়া ভেঙে মইনুল বসতঘরে প্রবেশ করিলে উপায়ান্তর না দেখে বালিশের পাশে থাকা দা-টি হাতে নেওয়ার চেষ্টা চালালে মইনুল দা-টি কেড়ে নিয়ে আমাকে আঘাতের চেষ্টা করে এসময় দা নিয়ে উভয়ে কাড়াকাড়ির সময় তার গাড়ে আঘাত লাগে। উল্লেখ্য, বুধবার (২৮ জুলাই) দিবাগত-রাত সাড়ে ১২ টার দিকে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ রুস্তুমপুর ইউনিয়নের টুকইর (যথনাথা) গ্রামে দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩৫) এর বসতঘর থেকে নিহত ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে। নিহত ওই যুবক একই গ্রামের মৃত রহমত আলীর ছেলে মইনুল ইসলাম (৩৫)। পুলিশি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৮ জুলাই) দিবাগত-রাত ১২ টার দিকে রুস্তুমপুর ইউনিয়নের টুকইর (যথনাথা) গ্রামে দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগমের বসতঘরে এক যুবকের লাশ পেেড় আছে মর্মে থানা পুলিশকে অবগত করা হয়। খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব পুলিশের একটি টীম নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছেন। রুস্তুমপুর ইউনিয়নের টুকইর (যথনাথা) গ্রামে দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগমের বসতঘরে থাকা যুবকের লাশ উদ্ধার ও দুবাই প্রবাসী আলাউদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম (৩৫) কে আটক করে গোয়াইনঘাট থানায় নিয়ে আসেন। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করায়। এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ পরিমল চন্দ্র দেব বলেন, নারী সংক্রান্ত জেরে মইনুল ইসলাম নামের যুবক খুন হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে এ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করা হবে। নিহত মইনুল ইসলামে ভাই খসরুল ইসলাম বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় দুবাই প্রবাসীর স্ত্রী সাফিয়া বেগম প্রধান আসামী করে আরো ৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: