জীবনের তাগিদে নদী পথেও ঝুঁকি নিয়ে ঢাকা আসছে মানুষ

প্রকাশিত: ০১ আগষ্ট ২০২১, ০৫:০৯ এএম
সাজ্জাদুল আলম শাওন, জামালপুর থেকে: ১৪ দিনের লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই শিল্প কারখানা খুলে দেয়ার খবরে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ নৌ-ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। বালাসি-বাহাদুরাবাদ ঘাটে সারাদিন কর্মস্থল ঢাকায় ফেরা যাত্রীর চাপ অব্যাহত ছিল। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই ঢাকাগামী কর্মজীবী মানুষেরা বিরামহীন ছুটে চলেছেন রবিবার (১ আগস্ট) কর্মস্থলে যোগ দিতে। শিল্পকারখানা খুলে দেয়ার ঘোষণায় লকডাউনেও মানুষের উপচে পড়া ভীর লক্ষ করা যায়। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রীরা। সাধারণ নৌকায় যোগে গাইবান্ধার বালাসি ঘাট থেকে দেওয়ানগঞ্জের বাহাদুরাবাদ ঘাটে পৌঁছায় যাত্রীরা। এসময় প্রতিটি স্ট্যান্ডে দেখা গেছে মানুষের উপচে পড়া ভীড়। গণপরিবহন না থাকায় খোলা ট্রাক, পিকআপ, অটোরিকশা, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে কয়েকগুণ ভাড়ায় গন্তব্যে যাচ্ছেন তারা। ঢাকাগামী যাত্রী সোহরাব হোসেন জানান, তিনি ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। গাইবান্ধার বালাসি ঘাট থেকে এসেছে। যাবেন ঢাকার মিরপুরে। তিনি নৌকার ন্যায্য ভাড়া ৮০ টাকার পরিবর্তে ৪০০ টাকা দিয়েছেন। বেশি ভাড়া দিতে তিনি বাধ্য হয়েছেন তিনি। গাইবান্ধার বালাসি ঘাট থেকে আসা যাত্রী পারভেজ জানান, জীবিকার তাগিদেই কর্মস্থলে যেতে হচ্ছে আমাদের। করোনার ভয়ে তো আর না খেয়ে মরতে পারেন না। যার কারণেই কিছুটা বাধ্য হয়ে রওনা দিয়েছি। কাজে যোগ দিতে না পারলে চাকরিটাও থাকবে না। তখন সংসার চালাবো কি দিয়ে। এভাবেই পরিবার পরিজন নিয়ে বাধ্য হয়েই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন কর্মজীবী মানুষেরা। লকডাউন শেষ হওয়ার আগেই গার্মেন্টেস খুলে দেওয়ায় বিভিন্ন ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। এসময় ঘাটে প্রশাসনের তেমন একটা নজরদারি চোখে পড়েনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: