ভন্ড পীরের পাল্লায় নিঃস্ব হয়ে যুবকের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ০২ আগষ্ট ২০২১, ০৫:৩১ এএম
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ভন্ড পীরের পাল্লায় পড়ে সহায়-সম্বল হারিয়ে অবশেষে হতাশায় গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে এমদাদুল হক (৪০) নামে দুই সন্তানের জনক। শনিবার (৩১ জুলাই) দিবাগত রাতে উপজেলার ঘাকপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (১ আগস্ট) পুলিশ এমদাদুলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘাকপাড়া গ্রামের মৃত হুরমুজ আলীর ছেলে এমদাদুল বেশ কিছুদিন আগে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার আবু হুরায়রা নামে এক ভন্ড পীরের অনুসারী হয়। ওই পীরের অনুসারী হওয়ার পর থেকে নানা প্রলোভনে পড়ে নিজের সামান্য জমিজমা বিক্রি করে একপর্যায়ে অর্থহীন হয়ে পড়ে সে। এরপর থেকেই হতাশাগ্রস্থ ছিল এমদাদুল। গত কয়েকদিন আগে ওই পীর তার দেওয়া একটি বিশেষ লাঠি ও লাল রঙের কাপড় (যা অনুসারীদের দেওয়া হয়) এমদাদুলের কাছ থেকে ফিরিয়ে নেয় কথিত পীল হুরায়রা। পীরের দেওয়া ওই লাঠি ও কাপড় ফেরত নেওয়ার পর এমদাদুল আরও মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। শনিবার সন্ধ্যার পর থেকে সে নিখোঁজ হয়। তখন থেকেই পরিবারের লোকজন এমদাদুলকে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। একপর্যায়ে পরিবারের পক্ষ থেকে কথিত পীর আবু হুরায়রাকে ফোন করে চাপ প্রয়োগ করলে ওই পীর রবিবার এমদাদুলের কাছে আসার কথা দেয়। এদিকে, রবিবার বেলা দেড়টার দিকে স্থানীয়রা এমদাদুলের লাশ পাশের বাড়ির পেছনে একটি গাছের ডালে রশিতে ঝুলতে দেখে। পরে খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ও থানা পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘অনুসারী হওয়ার যোগ্য নয়’ বলে এমদাদুলের কাছ থেকে লাঠি ও লাল কাপড় ফেরত নেওয়ার পর থেকেই সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। তার পিতা হুরমুজ আলীও প্রায় ২৭-২৮ বছর আগে বিষপানে আত্মহত্যা করে। লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদল জানান, পীরের সাথে ঘটনায় হতাশা ছাড়াও পারিবারিক কারণ ছিল এমদাদুলের। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: