সহস্রাধিক স্বাভাবিক প্রসবের রেকর্ড

প্রকাশিত: ১২ আগষ্ট ২০২১, ০১:১৫ এএম
মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিক সহস্রাধিক স্বাভাবিক প্রসবের রেকর্ড গড়েছে। সরকারি এ ক্লিনিকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখানে একের পর এক স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম চলমান আছে। স্বাভাবিক প্রসবে গ্রামীণ পর্যায়ে অসামান্য অবদান রাখায় এ ক্লিনিকটি ২০১৩ সালের ১৯ জুন নিরাপদ মাতৃত্ব দিবসের অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক পুরস্কার গ্রহণ করেন। এছাড়া একই বছরের ১৬ জুলাই জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ কমিউনিটি ক্লিনিক হিসেবে পুরস্কৃত হয়। ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিক সূত্রে জানা যায়, ভোগতেরা গ্রামের বাসিন্দা মইনুল ইসলামের দানকৃত জমিতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও এলাকাবাসীর উদ্যোগে এ ক্লিনিকটির যাত্রা শুরু হয়। ২০১২ সালের ১২ জানুয়ারি এখানে প্রথম স্বাভাবিক প্রসবের মাধ্যমে শিশুর জন্ম শুরু হয়। আজ বুধবার (১১ আগস্ট) পর্যন্ত এ সহকারি কমিউনিটি ক্লিনিকে ৫৪০ জন মেয়ে ও ৪৬৭ জন ছেলে শিশুর জন্ম নেয়। এরমধ্যে জমজ শিশু আছে সাতজন। ক্লিনিক সূত্রে আরোও জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) পার্শ্ববর্তী বড়লেখা উপজেলার খাদিজা আক্তার (২৫) প্রসব ব্যাথা নিয়ে নিয়ে সকাল সাতটায় ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকে আসেন। এরপর সকাল ৯ টা ২০ মিনিটে খাদিজার এক ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। খাদিজার স্বাভাবিক প্রসবে সহায়তা করেন প্রসবকর্মী লিপি খানম। খাদিজা খানমের সন্তান প্রসবের মাধ্যমে এ ক্লিনিকে সহস্রাধিক স্বাভাবিক প্রসবের রেকর্ড হয়। সরিজমিনে আজ এ কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে দেখা যায়, ভোরে উপজেলার উত্তর জাঙ্গিরাই গ্রামের রিনা বেগম (২২) স্বাভাবিক সন্তান প্রসব করেছে। এ সময় আলাপকালে ক্লিনিক পরিচালনা কমিটির সদস্য মোস্তাকিম আহমদ বলেন, ২০১৩ সালের ২৬ এপ্রিল তৎকালীন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত মুজিবুর রহমান ফকির ক্লিনিকটি পরিদর্শনে আসেন। তিনি এ ক্লিনিককে ১০ শয্যাবিশিষ্ট মা ও শিশু হাসপাতাল করার আশ্বাস দেন। পরে আর এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তাঁরা প্রতিমন্ত্রীর সেই আশ্বাস বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। ভোগতেরা কমিউনিটি ক্লিনিকে সহস্রাধিক স্বাভাবিক প্রসবের খবরে আজ ক্লিনিক পরিদর্শনে আসেন উপজেলা চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এমএ মোঈদ ফারুক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাস, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা, জায়ফরনগর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুম রেজা ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ। ক্লিনিকের স্বাস্থ্যসেবাকর্মী (সিএইচসিপি) হানিফুল ইসলাম জানান, এই কমিউনিটি ক্লিনিকে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৯ বছর যাবৎ বিনা খরচে স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম চলমান আছে। আগামীতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সমরজিৎ সিংহ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহায়তায় সহস্রাধিক স্বাভাবিক শিশুর জন্ম হওয়ায় আমরা আনন্দিত। সকলের সহযোগিতায় আগামীতেও স্বাভাবিক প্রসব কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: