স্ত্রী আত্মহত্যার খবর শুনে পালালো স্বামী!

প্রকাশিত: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:৫৭ এএম
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে মুর্শিদা বেগম (৩২) নামে এক গৃহবধু ফাসিঁতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনার পর থেকেই স্বামী মাসুদ মিয়া ও শ্বাশুরী পলাতক রয়েছে।নিহত মুর্শিদা বেগম ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে'র মাদুস মিয়ার স্ত্রী। তিনি দুই সন্তানের জননী। রবিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে উপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের নন্দীগ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার পর ওই গৃহবধু নিজ বসতঘরের বারান্দার পরিত্যক্ত রুমে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে নিহতের দুই সন্তান কান্নাকাটি শুরু করলে শ্বশুর আব্দুল বারেক মাষ্টার তাকে ঘরে না পেয়ে আশপাশের বাড়িতে খোঁজাখোঁজি করেও মুর্শিদাকে পায়নি। এমতাবস্থায বসত ঘরের বারান্দার রুমে ধাক্কা দিলে দরজা ভিতর থেকে বন্ধ পায়। পরে জানালা ভেঙ্গে মুর্শিদাকে ঝুলে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।এ বিষয়ে নিহতের চাচা মো.আবদুল আজিজ বিডি২৪লাইভ বলেন, প্রায় ১২ থেকে ১৩ বছর আগে পারিবারিক ভাবে নন্দীগ্রামে'র আব্দুল বারেক মাষ্টারে'র ছেলে মাসুদ মিয়ার সাথেপারিবারিক ভাবে বিয়ে দেই। এরপর থেকে মুর্শিদা সুখেই ছিল। তাদের ঘরে দুটি সন্তানও হয়।কিন্তু,দুই থেকে আড়াই বছর আগে মুর্শিদার স্বামী মাসুদ মিয়ার বড় ভাই মারা যায়।এরপর থেকে প্রতিবেশী লোকজনের কাছে এখন শুনতেছি মাসুদের ভাবি তাদের বাড়িতে থাকে। এরই মাঝে মাসুদের সাথে তার ভাইয়ের স্ত্রীর সাথে পরকিয়া সম্পর্কে জড়ান। এই নিয়ে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লেগেই থাকতে। এজন্য প্রায়ই স্বামী মাসুদ তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাকে হাত পা বেধে মারধর করত।ঘটনার দিন মুর্শিদাকে তার স্বামী মারধর করে।আমি আমার ভাতিজী হত্যার বিচার চাই বলেও জানান তিনি।বিষয়টি নিশ্চিত করে গৌরীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ বলা যাবে বলেও জানান তিনি।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: