আপনিও হয়ে যেতে পারেন একদিনের মাঝি!

প্রকাশিত: ২২ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০৫ এএম
একটু ভাবুন তো যদি আপনি মাঝি হোন। আর আপনার প্রিয়জন আপনার সহযাত্রী, তাহলে ব্যাপারটা কেমন হবে? মনে মনে ভাবছেন এটা আবার কিভাবে সম্ভব? এসব শুধু কল্পনাতেই হতে পারে বাস্তবে নয়। আবার অনেকে বলতে পারেন উনি কি বলছেন? শিরোনাম দেখে এমন নানা প্রশ্ন আপনার মনে জাগতে পারে এটাই স্বাভাবিক। মনে অনেক প্রশ্ন জাগলেও এমনটাই বাস্তবে সম্ভব জনপ্রিয় রাইড প্রতিষ্ঠান ‘ভোলা কায়াকিং পয়েন্ট এ। এখানে টিকেট সংগ্রহ করলেই আপনাকে বিশাল এক লেক এর ভিতর বোট এ বসিয়ে হাতে বৈঠা ধরিয়ে দেওয়া হবে।ফাইবার এর তৈরী হালকা বোট এবং স্টিলও প্লাস্টিকের সমন্বয়ে তৈরী বৈঠা দেখেই আপনি উৎফুল্ল হয়ে উঠবেন। লেক এর মধ্যে প্রবেশ করলেই চারপাশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে আপনি অজান্তেই হারিয়ে যাবেন অন্য এক পৃথিবীতে।যতই আপনি লেক এর ভিতরে প্রবেশ করবেন ততই আপনি মুগ্ধ হবেন। চারপাশের সবুজে ঘেরা গাছগাছালি, পাখির কলকাকলি আপনাকে সবচেয়ে বেশি প্রশান্তি দেবে।ভাগ্য থাকলে কায়াকিং করতে গিয়ে আপনার সাথে দেখা মিলবে বাদি হাঁস,রাজহাঁসসহ নানা জাতের জলজ প্রাণী। বড় বড় মাছের দেখাও মিলতে পারে আপনার সাথে।প্রায় ৩কিলোমিটার দীর্ঘ এই লেকের স্বচ্ছ জলরাশি যে কাউকে আকৃষ্ট করে ফেলবে মুহুর্তে। এতে আপনি ৩০মিনিট আশি টাকা এবং ১ঘন্টা দেড়শ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে কায়াকিং করতে পারবেন।অন্যদিকে পানিতে ভাসমান ব্লকের উপর তৈরী লাভ পয়েন্ট এ ১০টাকার টিকিট সংগ্রহ করে ছবি তোলতে পারবেন এবং সময় কাটাতে পারবেন ।এছাড়াও গাড়ীর আদলে তৈরী ১৫মিনিটের জন্য পঞ্চাশ টাকা দিয়ে টিকিট সংগ্রহ করে প্যাডেল বোট এ আপনি ঘুরতে পারবেন। অন্যদিকে শিশুদের জন্য রয়েছে ডরিমন রাইড। ২০টাকার টিকিট সংগ্রহ করে রাইডে উঠলেই দুলতে থাকবে রাইডটি।সাথে সাথে মিউজিকের তালে তালে শিশুরা আনন্দ উৎফুল্ল হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খোলা থাকে প্রতিষ্ঠানটি। পর্যটকদের আকর্ষণীয় এই " ভোলা কায়াকিং পয়েন্ট" টি ভোলা পৌর শহর থেকে প্রায় ১৩কিঃ মিঃ দূরে ভেলুমিয়া বাজারের পাশে বান্দেরপাড় নামক জায়গায় অবস্থিত। প্রতিদিন জেলার বিভিন্ন উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে এখানে ঘুরতে আসে ভ্রমণ পিপাসুরা।স্বল্প সময়ে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে এ পর্যটন কেন্দ্রটি। বরিশাল থেকে ঘুরতে আসা সিয়াম,রাশেদ, মিরাজসহ আরও কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানান, বরিশাল বিভাগের মধ্যে এমন সুন্দর জায়গা আমার চোখে পড়েনি। সুযোগ হলে আবার ঘুরতে আসবো। বাংলাদেশে কায়াকিং এর অন্যতম উদ্যোক্তা শেখ সাইদুল ইসলাম এবং সাইফুদ্দিন শামীম এর সহযোগিতায় ভোলার উদীয়মান,শিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ এমদাদ হোসেন, এম শরীফ আহমেদ এবং সুমন মুহাম্মদ মিলে এই প্রোজেক্টটি শুরু করেন।বরিশাল বিভাগে তারাই প্রথম ভোলাতে কায়াকিং পয়েন্ট চালু করেন। কায়াক শব্দটি এ দেশে অতটা প্রচলিত নয়। ফাইবার, কাঠ ও পাটের তন্তু দিয়ে তৈরি লম্বা সরু নৌকাকে কায়াক বোট বলা হয়। চালাতে হয় বৈঠা দিয়ে। কানাডায় প্রথম শুরু হয় কায়াক চালনা। বিদেশে সমুদ্র, নদীতে কায়াক চালনার প্রতিযোগিতা হয়ে থাকে। তবে এ দেশে বিনোদনের জন্যই কায়াকিং চালু হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: