সাঁতরে মসজিদে যাওয়া সেই ইমাম পেলেন নৌকা ও নগদ টাকা

প্রকাশিত: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:৪৯ পিএম
সাতক্ষীরার প্রতাপনগর এলাকায় ডুবে যাওয়া মসজিদে দৈনিক পাঁচবার সাঁতার কেটে গিয়ে মসজিদে আজান দেন এবং একাই নামাজ আদায় করেন মসজিদের ইমাম সাহেব। নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে মসজিদটি প্রায় অর্ধেকই ডুবে আছে পানিতে। তিনি এই জামে মসজিদের ইমাম এবং হাফেজ। তার নাম ইমাম মঈনুর রহমান। জানা যায়, এই মসজিদটি মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর কারনে। এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওটি ভাইরাল হবার পরে ইমাম মইনুরকে নৌকা ও নগদ টাকা সহায়তা দিয়েছে ‌‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। স্থানীয়রা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রায় চারমাস অতিবাহিত হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ এলাকা। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই ফের ইয়াসের আঘাত। সর্বশেষ ১০ সেপ্টেম্বর খোলপেটুয়া নদীর প্রবল জোয়ারের তোড়ে প্রতাপনগর গ্রামের মানিক হাওলাদারের বাড়ি সংলগ্ন জামে মসজিদের পাশের বিকল্প রিং বাঁধ ভেঙে ফের প্লাবিত হয় প্রতাপনগর, তালতলা, মাদারবাড়িয়া, কুড়িকাহনিয়া ও কল্যাণপুর গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা। প্রতিদিন দুপুরে ও রাতের জোয়ারে নিয়ম করে পানিতে ভাসছে ওই পাঁচ গ্রামের মানুষ। ইমাম মইনুর বলেন, সম্প্রতি নদী ভাঙন এবং পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় মসজিদটি নদীর অনেকটাই ভেতরে চলে গেছে। মুসল্লিরা এখন আর সেখানে যেতে পারেন না। তবে আমি প্রতিদিনই এখানে আজান দিই। রাতে ঘুমাই মসজিদেই। ইমাম মঈনুর রহমান আরও জানান, এরই মধ্যে তার নিজ বসতভিটাও চলে গেছে পানির নিচে। তাই পরিবার নিয়ে অন্য স্থানে বসবাস শুরু করেছেন। তবে এই মসজিদটিকে কখনও পরিত্যাক্তভাবে পড়ে থাকতে দেন না তিনি। নদীতে জোয়ার এলেই সাঁতরে মসজিদে যেতে হয় ইমাম হাফেজ মইনুর রহমানকে। সম্প্রতি তার এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ অবস্থায় তাকে নৌকা ও নগদ টাকা সহায়তা দিয়েছে ‌‘ডু সামথিং ফাউন্ডেশন’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: