প্রেমে প্রতারণার শিকার এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেমিকের বিয়ের খবর শুনে শুক্রবার থেকে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছে। ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বগুলা-ডাংগী বালিয়া গ্রামে। স্থানীয় ইউপি মেম্বারকে ঘটনার কথা জানালে তিনি জানান পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রেমিক কামরুল ইসলাম (২৪) নুরুল ইসলাম (ভুলা)র ছেলে। ছেলের একটি মুদি দোকান রয়েছে তুরুপতা বাজার এলকায়।
অনশনরত ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এই বার এসএসসি পরিক্ষার্থী । তার বাড়ি গড়েয়া ইউনিয়নে। শিক্ষার্থী জানায়,আমার সাথে কামরুলের চার বছরের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমাকে নানা ভাবে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে শারিরীক সম্পর্ক করে। যার ফলে আমি কনসেপ্ট করেছিলাম। এখন শুনছি সে নাকি অনেক দিন হলো অন্য মেয়েকে বিয়ে করে সংসার করছে আমাকে না জানিয়ে। এখন আমার আত্নহত্যা করা ছাড়া আর রাস্তা নেই । পরে ছেলের অবস্থান কোথায় জানতে চাইলে সে তার শশুর বাড়িতে রয়েছে বলে জানায় তার বাবা।
স্থানীয়রা জানায় গত দুই আড়াই মাস আগে পারিবারিকভাবে অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় কামরুলের। পরে মেয়ের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি অসহায়। তাছাড়া মেয়ের বাবা অন্য একটা বিয়ে করে ঢাকায় থাকে আমি খুব কস্ট করে সংসার চালাই এর আগে আমার মেয়ে কনসেপ্ট করেছিল। যা পরে ছেলে টের পেয়ে আমার মেয়েকে কৌশলে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে গিয়ে বাচ্চা নষ্ট করে দিয়েছে। মেয়ের চাচারা জানার পরে মেয়ে সহ আমাকে বাড়ি থেকে বাহির করে দিয়েছে।
এখন আমার মাথা গোজার ঠাঁই নেই। আমি কোথায় যাবো দিশেহারা হয়ে গিয়েছি।
এই বিষয়ে স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা হলে তারা জানান যে আমরা জানতাম ছেলে মেয়ের একটা প্রেমের সম্পর্ক ছিলো কিছু দিন আগে। একটা ঝামেলা হয়েছিল পরে ইউপি সদস্য আনোয়ার যে কিভাবে কি করছে তা আর বলতে পারছিনা। মেম্বার কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন আমি কিছুই জানিনা শুনছি ছেলের চাচাতো ভাইয়েরা মিলে নাকি সমঝোতা করেছিলো।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমাকে কেউ কিছু বলেনি আর এই বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম জানান এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি, আভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পাঠকের মন্তব্য: