ময়মনসিংহের ফুলপুরে পলিথিনের ঝুপড়িতে বসবাস করা ভিক্ষুক মালেকা বেগমকে (৬৫) টিনের ঘরে তুলে দিলেন ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন। ওসির এমন কাজকে প্রশংসায় ভাসাচ্ছেন স্থানীয় মানুষজন।বৃদ্ধা মালেকা উপজেলার রহিমগঞ্জ ইউনিয়নের ধন্তা গ্রামের মৃত হজরত আলীর স্ত্রী। তিনি মানুষের বাড়িতে কাজ করার পাশাপাশি ভিক্ষা করে জীবনযাপন করতেন।
গত বৃহস্পতিবার (২৩সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঘর পরিদর্শন করে আসেন ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন। ওই বৃদ্ধাকে ঘরে তুলে দেন শুক্রবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকার, এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদ, তাকওয়া অসহায় সেবা সংস্থা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হানসহ স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ ওসি আবদুল্লাহ আল মামুন অফিসিয়াল কাজের ব্যাস্ততার কারণে ঘর তুলে দেওয়ার সময় তিনি উপস্থিত থাকতে পারেন নাই।
সুত্র জানায়, তাকওয়া অসহায় সেবা সংস্থা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হান প্রায় মাসখানেক আগে ওই বৃদ্ধাকে নিয়ে ঝুপড়িতে বসবাস ভিক্ষুক মালেকা বেগমের এমন একটি পোষ্ট দেন ফেসবুকে। পরে বিষয়টি নজরে আসে ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন'র। পরে তপু রায়হানকে খবর দিয়ে নিয়ে ওই বৃদ্ধার ঘরের ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেন।
এ বিষয়ে তাকওয়া অসহায় সেবা সংস্থা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হান বিডি২৪লাইভ কে বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দেয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে ওসি সাহেবের। পরে আমাকে খবর দিয়ে নিয়ে ওই বৃদ্ধাকে ঘর করে দেয়ার উদ্যোগ নেন। ওসি সাহেবসহ আরও অনেকের সহায়তা নিয়ে বৃদ্ধা মালেকা বেগমকে ঘর তুলে দেই এবং আজ সেই ঘরে বৃদ্ধাকে তুলে দেয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে বৃদ্ধা মালেকা বেগম বিডি২৪লাইভ কে বলেন, প্রায় ১৫ বছর আগে আমার স্বামী মারা গেছেন। স্বামীর রেখে যাওয়া আড়াই শতাংশ জমিতে দীর্ঘদিন যাবত পলিথিনের ঝুপড়িতে বসবাস করে আসছি। ওসি সাহেবের উদ্যোগে অনেকের সহায়তায় আজ একটা ঘরে উঠতে পেরেছি। আমি নামাজে বসে দোয়া করব। এই মানুষগুলো যেন ভাল থাকে। আরও অনেক মানুষকে সহায়তা করতে পারে।
এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, একটি ফেসবুক পোষ্টে বৃদ্ধা মালেকা বেগম পলিথিনের ঝুপড়িতে বসবাস করার বিষয়টি জানতে পারি। পরে স্থানীয় তাকওয়া অসহায় সেবা সংস্থা'র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক তপু রায়হানের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত খবর নিয়ে ওই বৃদ্ধাকে ঘর তুলে দেয়ার উদ্যোগ নেই। তিনি আরও বলেন, পরে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শীতেষ চন্দ্র সরকারের সাথে আলোচনা করলে তিনিও দুই বান টিন দেন।
এছাড়াও ব্যারিস্টার আবুল কালাম আজাদসহ স্থানীয় আরও অনেকের আর্থিক সহায়তায় ঘরে তুলে দেই। তবে, আমি সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে আহব্বান করব। যেন সমাজের প্রত্যেক গরিব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ায়।
পাঠকের মন্তব্য: