গৌরীপুর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মিন্টু

প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৬:০৯ এএম
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরীপুর উপজেলা শাখার সম্মেলন নেই দীর্ঘ ১৮ বছর যাবত । বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনায় আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের গুঞ্জন উঠেছে। কযেক বছর যাবত সম্মেলনের গুঞ্জনে জেগে উঠেন নিস্ক্রিয় নেতাকর্মীরা কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সবকিছু থেমে যায় হঠাৎ। তবে এইবার আটঘাঁট বেঁধেই মাঠে নেমেছেন নেতাকর্মীরা। এই সম্মেলনকে ঘিরে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে সম্ভাব্যপ্রার্থীরা কেন্দ্র ও তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন বাংলাদেশ আ.লীগ গৌরীপুর উপজেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক ও সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম মিন্টু। ছাত্রজীবনে তিনি ছাত্র রাজনীতিতে যোগ দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে'র আদর্শে উদ্ভূদ্ধ হয়ে ১৯৮৪ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন এবং ছাত্রলীগের বিভিন্ন পদে আসীন হন। উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনি ৯০’র স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে গৌরীপুর উপজেলায় ও উত্তর ময়মনসিংহে সংগঠক হিসেবে কাজ করেছেন এবং স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে বলিষ্ট ভূমিকা রাখেন। সাংবাদিকতা ও রাজনীতির সাথে মিশে থেকে স্থানীয় রাজনীতিতে তাঁর অনেক অবদান রয়েছে।তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতিতে পরিক্ষীত সৈনিক। স্বৈরচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে প্রত্যেকটি আন্দোলনে সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তিনি গৌরীপুরের প্রখ্যাত ব্যবসায়ী মরহুম আরশেদ আলী বেপারী ও গৃহিণী মরহুমা সালেহা আক্তার খানমের ৬ কন্যা ১পুত্র সন্তানের মাঝে সর্বকনিষ্ট সন্তান। গৌরীপুর সরযূবালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণীতে প্রাথমিক বৃত্তি ও ময়মনসিংহ মৃত্যুঞ্জয় স্কুল থেকে জুনিয়র বৃত্তি ও এসএসসিতে স্টার মার্কসহ উত্তীর্ণ হন। আনন্দমোহন সরকারী কলেজ থেকে এইচএসসি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন তিনি। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সাংবাদিকতা,রাজনীতি, ক্রীড়া ও বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।তাঁর সাংবাদিকতার হাতে খড়ি হয় ছাত্রজীবনে। তিনি ১৯৮৬ সালে ঢাকা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক ‘একতা’ পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজকের কাগজ, দৈনিক আল আমিন, দৈনিক মুক্তকণ্ঠ, দৈনিক সমকাল ও ময়মনসিংহ থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাকের বাংলাদেশ, দৈনিক ঈষিকা ও দৈনিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। বর্তমানে তিনি জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাক, দৈনিক স্বদেশ সংবাদ পত্রিকা ও অনলাইন ঢাকা নিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম ও উত্তরাধীকার ৭১ডট কমের উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে চলেছেন। তিন দশকে তিনি মফস্বল সাংবাদিকতায় মেধা, সততা, পেশাদারিত্ব, দায়িত্বশীলতা ও অসম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনার নিরবচ্ছিন্ন চর্চা করে চলেছেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষে তিনি বারবার আপোসহীন ও অকতুভোয় থেকে কাজ করেছেন। ১৯৯৮ সালে তিনি গৌরীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তী সময়ে সাতবার তিনি সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি গৌরীপুর উপজেলা শাখার বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এবং সাংবাদিক বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. গৌরীপুর এর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি পিআইবি ও বিসিডিজেসি থেকে সাংবাদিকতার উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ ও সনদ লাভ করেছেন। তিনি শিক্ষা জীবন শেষ করে ১৯৯৮ সালে পূর্বধলা ডিগ্রী কলেজে ও পরে বারহাট্টা ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক হিসেবে চাকুরি করেছেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে দীর্ঘদিন যাবত জড়িত থেকে শিক্ষা বিস্তারে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। ২০১৫ সালে তিনি গৌরীপুর পাবলিক কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন ও বর্তমানে এ কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও প্রতিভা মডেল স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তিনি। গৌরীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির টানা দুইবার নির্বাচিত সদস্য, বোরহান উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের টানা ২বার নির্বাচিত সভাপতি, গৌরীপুর ইসলামাবাদ সিনিয়ম মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি ও আজীবন দাতা সদস্য, গৌরীপুর মহিলা ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা কমিটির নির্বাচিত সদস্য। শিক্ষায় বিশেষ অবদান রাখার জন্য পেয়েছেন ‘সাংবাদিক সুরেশ কৈরী পদক’। তিনি একজন ক্রীড়ামোদী হিসেবে এলাকার তরুণদের নিয়ে ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ক্রীড়া সংগঠন ‘ব্রাদার্স ইউনিয়ন’। তিনি সংগঠনটির টানা তিনবার সাধারণ সম্পাদক ও একবার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। ফুটবল ও ক্রিকেট তাঁর প্রিয় খেলা। এক সময় তিনি ক্রিকেট খেলতেন। খেলাধূলার গুনগত মান উন্নয়নের জন্য কাজও করেছেন। সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও তিনি দাপটের সাথে বিচরণ করেছে চলেছেন। তিনি গৌরীপুর তথা উত্তর ময়মনসিংহের সেরা সংগঠন (গৌরীপুরের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠনের ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম) ’বাংলা মঞ্চ’র আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা শিল্পকলা একাডেমীর কার্যকরী সদস্য, গৌরীপুর সংগীত নিকেতনের পরিচালক ও বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, গৌরীপুর উপজেলা শাখার সদস্য। এছাড়াও তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে গণজাগরণ মঞ্চের অন্যতম সংগঠক ও এক্টিভিস্ট হিসেবে কাজ করেছেন। গণতান্ত্রিক মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকল আন্দোলনে ভ‚মিকা পালন করে চলেছেন ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচারে একজন অগ্রগামী সৈনিক হিসেবে কাজ করছেন। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সকল রাজনৈতিক, সামাজিক, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ আপামর সকলের কাছে তিনি বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য মানুষ হিসেবে পরিচিত।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: