শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও করোনা আতঙ্কে অভিভাবকরা

প্রকাশিত: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:০৩ এএম
করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘ দেড় বছর পরে গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষে পাঠদান শুরু হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিত কম দেখা গেছে। করোনা আতঙ্কে অনেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবক তাদের সন্তানদের নিরাপদে রাখতে বিদ্যালয় যেতে দিচ্ছেন না। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসতেও কোন চাপ দিচ্ছেন না প্রতিষ্ঠান। উপস্থিত হতে না চাইলে তাদের বাধ্য করা হচ্ছে না। আজ রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। দনিয়ার বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে খোজ নিয়ে দেখা গেছে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি একেবারেই সন্তোষজনক নয়। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে শিফটিং পদ্ধতিতে ক্লাসের প্রয়োজন হয় না। প্রতিষ্ঠানের তৃতীয়-তলায় দেখা গেছে ক্লাস হচ্ছে। শিক্ষকরাও পাঠ দানে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শিক্ষার্থীরা সবাই দূরত্ব বজায় রেখে বসেছে। সবার মুখে মাস্ক। অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধির চিত্রও ভালো দেখা গেল। কিন্তু শিক্ষার্থীর উপস্থিতির যে তথ্য জানা গেল, সেটাকে ভালো বলা যায় না। কোনো ক্লাসে ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হচ্ছে। আবার কোনো ক্লাসে ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত হচ্ছে। উপস্থিতি কম কেন, জানতে চাইলে সহকারী প্রধান শিক্ষক সনিয়া নাহিদ জানান, দীর্ঘদিন পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে, অনেক অভিভাবকদের মনে এখনো হয়তো করোনা আতঙ্ক রয়েছে। তিনি জানান, যেসকল শিক্ষার্থী অনুপস্থিত নিয়মিত তাদের অভিভাবকদের ফোন দেওয়া হচ্ছে। নিয়মিত যোগাযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু কোন চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে না। আবার অনেকে মনে করেন দীর্ঘ দিন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিলো দু-এক মাস পরে নতুন বছর বসছে এখন এইকয়দিনের জন্য টাকা পয়সা দিয়ে কি লাব। তিনি বলেন, সব অভিভাবকের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মনে হচ্ছে, কিছু অভিভাবক এখনো দ্বিধাগ্রস্ত। আবারও অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে। রাজধানীর দনিয়ায় এ কে স্কুল এ্যান্ড কলেজে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। রোববার এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিও কম। তবে যারা ক্লাসে আসছেন তাদের মধ্যেও এক ধরনের আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী বলেন, ভয়ে ভয়ে স্কুলে আসছি। অভিভাবকরা আসতে মানা করছে, অনেকে স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে। জানা গেছে, এ কে স্কুল এ্যান্ড কলেজে ২০২১ সালের পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির উপস্থিতি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ। এছাড়া ২০২২ সালের পরীক্ষার্থী দশম শ্রেণির উপস্থিতি রয়েছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে উপস্থিত ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ। এ কে স্কুল এ্যান্ড কলেজের ইনচার্জ মো. আজম আলী খান বলেন, করোনার আতঙ্ক এখনো শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে বিরাজ করছে। আমরা নিয়মিত যোগাযোগ করছি। কিন্তু কোন চাপ দেওয়া হচ্ছে না। শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার দিকে মনোযোগ দেবে সেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়াও অনেক সমস্যার মধ্যে রয়েছে অভিভাবকরা, কারো চাকরি নেই, কেউ বাড়ি চলে গেছে। করোনা আক্রান্ত হার আরেকটু কমলে এই আতঙ্ক থাকবে না।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: