তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রামে তিন সন্তানের জননী মনোয়ারা বেগম(৩৬) নামের এক মহিলাকে তার স্বামী ও ছেলে সুপারি গাছের সাথে বেধেঁ দিনভর নির্যাতন করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, ওই গ্রামের বজলুর রহমানের মেয়ের সাথে পাশ্ববর্তী জলঢাকা উপজেলার পাভেল নামের এক ছেলের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে প্রথমে স্বামী বজলুর রহমান ও বড় ছেলে শাহরিন ইসলামের সাথে ঘটনার দিন বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে বজলুর রহমান ও তার ছেলে মনোয়ারা বেগমকে একটি সুপারি গাছে বেঁধে দিনভর মারপিট করে।
লাঠি ও লোহার রড দিয়ে আঘাতে মনোয়ারা বেগম চিৎকার করেেত করতে এক পর্যায়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক প্রতিবেশী ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে ডিমলা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে।
স্থানীয় প্রতিবেশীরা বলেন, এ ঘটনাটি অত্যান্ত অমানুষিকতার পরিচয় দিয়েছে। ওই মহিলার পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই। কাজেই মানবাধিকার কর্মীদের এগিয়ে এসে তার পাশে দাঁড়ানো উচিৎ বলে তারা মন্তব্য করেন।
এ ব্যাপারে ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা মনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। পরবর্তীতে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে।
পাঠকের মন্তব্য: