কালিয়াকৈরে পঞ্চমী দিয়ে দুর্গাপূজা উৎসব শুরু

প্রকাশিত: ১১ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৮ এএম
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতিমা তৈরীর কর্মযজ্ঞ শেষে প্রতিমা সাজিয়ে বিসর্জনের উপযোগী করে পঞ্চমী দিয়ে আজ রবিবার (১০ অক্টোবর) শুরু হচ্ছে দুর্গাপূজার প্রথম পর্ব। অন্যান্য স্থানের মতই গাজীপুরের কালিয়াকৈরে প্রতিটি পূজা মণ্ডপে দেখা মিলছে বাহারি রকমের আলোকসজ্জা ও প্রতিমার সামনে আলপনার ঝংকার। পূজার পূর্ব মুহূর্তের প্রস্তুতি শেষ করে প্রতিমা সাজানোর কোন দিকে ঘাটতি আছে কিনা সে ব্যাপারেও পরখ করে দেখছেন সবাই। যেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রতিটি ঘরে ঘরে আনন্দের জোয়ার বইছে। কালিয়াকৈরের প্রতিটি পূজা মণ্ডপে প্রশাসনের কড়া নজরদারির ব্যবস্থাও করা হয়েছে। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন কমিটি কালিয়াকৈর শাখা সূত্রে জানাগেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় মোট ১২৮ টি দুর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তূতি নেয়া হয়েছে। সরেজমিনে কয়েকটি পূজা মন্ডপ ঘুরে দেখা যায়, মন্ডপে মন্ডপে চলছে পূজার প্রথম পর্বের কর্মযজ্ঞ ও পূজা মণ্ডপের সামনে রাখা হয়েছে দর্শনার্থীদের আপ্যায়নের জন্য ব্যবস্থা।  পূজোর আয়োজনকে ঘিরে পাড়া মহল্লা থেকে শুরু করে বাড়ির শিশু-কিশোর এবং বয়স্কদের মনেও খুশির আমেজ যেন ভরপুর। আয়োজন আর অতিথি আপ্যায়নের ঘাটতি রাখা হয়নি কোথাও। পঞ্চমী থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত প্রতিদিনই যেন ভিন্নরকম আনন্দ নিয়ে আসবে সকলের মনে, এরকমটাই প্রত্যাশা সনাতন ধর্মাবলম্বীদের। পূজাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মার্কেটে জামা-কাপড় কেনার ধুম পড়েছে। বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার মার্কেটগুলোতেও রয়েছে উপচেপড়া ভিড়। শুভশ্রী রানী সরকার নামের এক ব্যক্তি জানান, বছর ঘুরে মা এসেছে। মনে তো আনন্দ থাকবেই। এটি আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব তাই আগে থেকেই নানা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। আজ পঞ্চমী, পূজার প্রথম পর্ব শুরু হয়ে গেছে। হাতে সময় খুব কম তাই তাড়াহুড়া করে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা করতে মার্কেটে এসেছি। বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কালিয়াকৈর শাখার সভাপতি দেব দুলাল সরকার জানান, গত বছর মহামারী করোনার প্রভাবে আমাদের পূজা মন্ডপগুলো আনন্দহীন হয়ে পড়েছিল। তবে এবছর করোনার প্রভাব অনেকটা কম থাকায় সবাই আনন্দের সাথে পূজোর আয়োজন করছে। বড় ছোট সকলের মনেই এবছর আনন্দের যেন কমতি নেই। কালিয়াকৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, সনাতন ধর্মীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। এই উৎসবকে ঘিরে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। এসব স্থানে নিরাপত্তা বজায় রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ ও আনসার বাহিনী নিযুক্ত করা হয়েছে। আশাকরি সুষ্টু ও সুন্দরভাবে হিন্দু সম্প্রদায় তাদের পূজা উৎসব পালন করবে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: