'স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে চাই সমতা, জবাবদিহিতা ও অংশগ্রহণ'-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাগড়াছড়ি জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (১০ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ-এর সহযোগিতায় জাবারাং ও জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সভাপতি সাধন কুমার চাকমার সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব মথুরা বিকাশ ত্রিপুরার স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সূচিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের মাননীয় চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী (অপু)।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঞা, সিভিল সার্জন ডাঃ নুপুর কান্তি দাশ, পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা, জেলা পরিবার পরিকল্পানা বিভাগের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ এমরান হোসেন চৌধুরী, আবাসিক মেডিকেল অফিসার রিপল বাপ্পী চাকমা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু বলেন, 'স্থানীয় পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিকার, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে জনসচেতনতা, স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং সকল পর্যায়ে জনঅংশগ্রহণ নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যসেবায় টেকসই উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম ভূমিকা রাখবে। আমি জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামকে সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি এবং তাদের কাজের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।'
জাবারাং কল্যাণ বাংলাদেশ ও হলথওয়াচ বিষয়ক ফোকাল পার্সন বিনোদন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরামের সহ-সভাপতি মিজ মিনুচিং মারমা। এসময় খাগড়াপুর মহিলা কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক শেফালীকা ত্রিপুরা, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রিপন চাকমা, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরামের সমন্বয়কারী রানা হামিদ প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
বাংলাদেশ হেল্থ ওয়াচ-এর সচিবালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার (নেটওয়ার্কিং এন্ড লিয়াঁজো) রাজেশ কুমার অধিকারী বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের সার্বিক তথ্য উপস্থাপনের পাশাপাশি বাংলাদেশ হেলথ ওয়াচ, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার ফোরাম, জেলা স্বাস্থ্য অধিকার যুব ফোরাম ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন।
তিনি বলেন, এই কাজটি শুধু জাবারাং-এর নয়, এটি খাগাছড়ি জেলার নাগরিক সমাজের। স্বাস্থ্য খাতকে উন্নয়ন করার জন্য নতুন করে চিন্তা-ভাবনা উপলব্ধি করার সময় এসেছে। এই সামাজিক আন্দোলনটি জনগণের নিরাপদ জীবন-যাপন ও স্বাস্থ্য সেবায় সমানাধিকার অর্জনে কাজ করবে। তিনি সংবিধানের ২৮ এর ১,২,৩,৪ ধারার সমতা ও ন্যায্যতার উপর পর্যালোচনা করেন।
পাঠকের মন্তব্য: