আমি কি ১০ হাত ওয়ালা মূর্তি যে সব কাজ একা করব: বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্য

প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২১, ০১:০৩ এএম
গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বশেমুরবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন উপাচার্য ড. এ কিউ এম মাহবুব। তিনি বিডি২৪লাইভকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক সংকট, বাজেট সমস্যা, প্রকল্পের ধীরগতি, শিক্ষক সংকট, দক্ষ জনবল সংকটসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। প্রকল্পের ধীরগতি বিষয়ে উপাচার্য বলেন ‘এখানে আমার কিছু করার নাই। এখানে দ্রুত গতিতে কাজ করার কোনো সুযোগ নাই। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন রেজিস্ট্রার নাই, একজন ডিরেক্টর অব একাউন্টন্স নাই, একজন এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার নাই,একজন ডিরেক্টর অব প্লানিং নাই, একজন ট্রেজারার নাই, একজন প্রো ভিসি নাই। আমি কি দশ হাত ওয়ালা মূর্তি যে সব কাজ একা করব’? বাজেট সমস্যা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘বাজেট সমস্যার এখনো সমাধান হয়নি। ইউজিসির কাছে বাজেট চাওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূর্ণ খরচ ইউজিসি দেয়। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৮% ভাগ খরচ আমাদের বহন করতে হয়। গত তিনবছরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে ইউজিসিতে কোনো বাজেট চাওয়া হয়নাই। প্রশাসনের টাকা লুট হয়েছে। এই বছর আমরা নিয়ম অনু্যায়ী টাকা চাইবো।' তিনি আরও বলেন, আমাদের সেন্ট্রাল ফান্ডে শুধুমাত্র বেতন ছাড়া ইউজিসি (বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন) একটা টাকাও দেয়না। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ খরচ, পানি খরচ, ট্রান্সপোর্ট খরচ, উন্নয়নের খরচ, খাতা দেখার খরচ সকল কিছু আমাকে চালাতে হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে দুইবছর কোনো ইনকাম নাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংকটের বিষয়ে তিনি বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘প্রশাসন থেকে গত তিন বছরে শূন্য পোস্ট থাকতেও কোনো পোস্ট চাওয়া হয়নাই। বিভিন্ন বিভাগে টিচার নাই, ধার করা টিচার দিয়েই ক্লাস চলছে। আমি এখন এ সকল সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছি’। বিশ্ববিদ্যালয় আবাসিক হল সমূহে বাজেট সমস্যা আছে কীনা জানতে চাইলে উপাচার্য বিডি২৪লাইভকে বলেন, ‘শুধুমাত্র একটি হলে কিছুটা বাজেট সংকট রয়েছে। তাছাড়া বাকি হলগুলোর ব্যাংকে লক্ষ লক্ষ টাকা পড়ে আছে। হল থেকে তা খরচ করা হয়না। হলের ডেকোরেশনের কাজ পর্যন্ত সেন্ট্রাল থেকে করা হয়েছে। হল প্রোভোস্টদের চেয়ে আমিই বেশিবার আবাসিক হলে গিয়েছি।’

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: