মৌলভীবাজারে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, একই আঙিনায় মসজিদ-মন্দির

প্রকাশিত: ১৪ অক্টোবর ২০২১, ১১:২২ পিএম
সারাদেশে চলছে হিন্দু চলছে ধর্মাবলম্বী অনুসারীদের শারদীয় দুর্গাপূজা। মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী উপজেলার ভূয়াই দুর্গা মন্ডপে পূজা উদযাপনের দৃশ্যটা যেন একটু অন্যরকম। এখানে মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদ এবং হিন্দুদের পূজা অর্চনার জন্য মন্ডপ একই আঙ্গিনায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে। এ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। একই আঙিনায় অবস্থিত মসজিদে ভোরে ফজরের সময় মোয়াজ্জিনের কন্ঠের মিষ্টি আজান শেষে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করে চলে যায়। এরপর সকাল থেকেই মান্ডপে চলে পূজা অর্চনা। এমন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বহন করে বহু বছর চলছে উপজেলার ভূয়াই জামে মসজিদ ও ভূয়াই দুর্গা মন্ডপ। সরজমিনে দেখা যায়, ভূয়াই শ্রী শ্রী পূজা মন্ডপের সভাপতি পিযুস কান্তি দাসের বসা টেবিলে একটি নামাজের সময়সূচীর তালিকা রাখা। টেবিলে নামাজের সময়সূচীর তালিকা রাখা কেন বলতেই তিনি বিডি২৪লাইভ প্রতিনিধিকে বলেন, নামাজের শুরু ও শেষ দেখে আমরা আমাদের পূজা উদযাপন করি। নামাজে যাতে কোনো ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বদা সচেষ্ট আছি। আমাদের এখানে হিন্দু-মুসলমানদের মধ্যে কোন ধরনের বিভেদ নেই। আমরা মিলেমিশে যার যার ধর্ম পালন করছি। জানা গেছে, আজানের সময় থেকে নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের মাইক, ঢাক-ঢোলসহ যাবতীয় শব্দ বন্ধ থাকে। নামাজের প্রথম জামায়াত শেষ হলে মন্দিরের কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়। এখানে কোনো বিশৃঙ্খলাও হয় না। শালীনতা বজায় রেখে একই উঠানে দীর্ঘদিন বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব পালন করে আসছেন উভয় ধর্মের মানুষ। ওই এলাকায় ঘুরতে আসা কয়েকজন বিডি২৪লাইভ প্রতিনিধিকে, জুড়ীতে ধর্মীয় সম্প্রীতির এটি একটি জ্বলন্ত উদাহরণ। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই অনেক বছর ধরে এ সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে ধর্মীয় উৎসব পালন করছেন তারা। সত্যি এটি তাদের জন্য অনেক বড় গর্বের বিষয়। ভূয়াই জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা সিরাজ উদ্দিন বিডি২৪লাইভ প্রতিনিধিকে বলেন, আমাদের একই আঙিনায় দুটি প্রতিষ্ঠান। এখানে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব শ্রেণির মানুষ স্বাধীনভাবে ঘুরতে আসে। আমরা তাদের সব কাজে সহযোগিতা করি। তারাও আমাদের সহযোগিতা করেন। নামাজের সময় মন্দিরের ঢাক-ঢোল বন্ধ রাখা হয়। কোনো বিশৃঙ্খলা ছাড়াই অনেক বছর ধরে চলছে এ সম্প্রীতির বন্ধন।’ ভূয়াই জামে মসজিদের মুসল্লি মোস্তাকিম আহমদ বাবুল বিডি২৪লাইভ প্রতিনিধিকে বলেন, এখানে কোন ধরনের বিভেদ ও ঝামেলা ছাড়াই হিন্দু ও মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষেরা যার যার ধর্ম পালন করে আসছে। দুর্গাপূজার এ সময়ে ঢাক-ঢোল নিয়ে কোন সমস্যা হয় না। মসজিদ ও মান্ডপ কমিটি সম্বনয় করে যার যার ধর্ম পালন করে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: