ভূরুঙ্গামারীতে আগাম জাতের আমন ধান কাটা শুরু

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৩৮ পিএম
মনিরুজ্জামান, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) থেকে: কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে আগাম জাতের রোপা আমন ধান কাটা মাড়াই শুরু হয়েছে। আগাম জাতের ধানের পরিপুষ্ট সোনালি শীষে ভরে গেছে কৃষকের ক্ষেত।বাতাসে ঢেউ তুলছে সোনালী ধানের শীষ।ধান কাটা মাড়াই কাজে কৃষকের পাশাপাশি ব‍্যস্ততা বেড়েছে দিন মজুরদেরও। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ও কৃষকদের সাথে কথা বলে জানাগেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও খড়ার কারণে আমন চারা লাগাতে বিড়ম্বনার শিকার হলেও পরবর্তীতে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় ধানের ভালো ফলনের আশা করছেন কৃষকরা। এছাড়াও গরুর খাদ্য হিসেবে খড়ের চাহিদা বৃদ্ধি ও ধানের দাম ভাল থাকায় লাভের স্বপ্ন দেখছেন চাষীরা। উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামের কৃষক লিয়াকত আলি বলেন- আড়াই বিঘা জমিতে আগাম জাতের আমন ধান আবাদ করেছি। ফলন বেশ ভালো হয়েছে। সদর ইউনিয়নের দেওয়ানের খামার গ্রামের কৃষক রাজিবুল বলেন- ধানের ফলন ভালো হয়েছে। অগ্রিম ধান পাকায় কিছু ধান পাখি খেয়ে ফেলেছে। এছাড়াও ধানের কাঁচা আটি(খড়)র দামে বেজায় খুশি তিনি। উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে আগাম জাতের আমন ধান কেটে ওই জমিতে বাড়তি ফসল হিসাবে আলু, বেগুনসহ শীতকালীন সবজি ও সরিষা চাষ করতে পারে।যা পরবর্তীকালে বোরো ধান চাষের অথের্র যোগান হয় কৃষকের। তাই প্রতি বছরই বৃদ্ধি পাচ্ছে আগাম জাতের রোপা আমন ধানের চাষ। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ৭শত ২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ২হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ব্রি-ধান ৫৬, ব্রি-ধান ৭১, ব্রি-ধান ৭৫, বিনা-১১, বিনা-১৭ ও বিভিন্ন হাইব্রিড ধান চাষ হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন,এবছর আগাম জাতের আমন ধানের ক্ষেতে তেমন রোগ বালাই হয়নি। ভালো ফলন পেতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নানা ভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। বিশেষ করে উচ্চ ফলনশীল আগাম জাতের ধান চাষে লাভবান হওয়ায় কৃষকদের আগ্রহ বাড়ছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: