শ্রীময়ীর সঙ্গে কাঞ্চনের পরকীয়ার গুঞ্জন আরও জোরালো হচ্ছে

প্রকাশিত: ১৬ অক্টোবর ২০২১, ০৬:৫৬ পিএম
ওপার বাংলার ছোটপর্দার অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজের সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত টলিউড অভিনেতা ও বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক এমন খবরে বেশ গরম ছিল টলিউডপাড়া। খোদ এই অভিনেতার স্ত্রী পিংকি বন্দ্যোপাধ্যায় স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলেছিলেন। শেষমেষ পরকীয়ার সেই অভিযোগ গড়িয়েছিল মামলা পর্যন্ত। সেসময় শ্রীময়ীর সঙ্গে কাজের বাইরে অন‌্য কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছিলেন কাঞ্চন। সময়ের সঙ্গে বিষয়টি কিছুটা আড়ালে চলে গিয়েছিল। আবারো খবরের শিরোনাম হলেন শ্রীময়ী-কাঞ্চন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দিরে একসঙ্গে হাজির হয়ে এই আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তারা নিজেরাই। একসঙ্গে ক‌্যামেরাবন্দিও হয়েছেন এই যুগল। ছবিতে দেখা যায়—শ্রীময়ীর পরনে মেরুন আর গোল্ডেন রঙের শাড়ি আর কাঞ্চনের পরনে অফ হোয়াইট রঙের পাঞ্জাবি সঙ্গে মানানসই নাগরা জুতা। হাসিমুখে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে পোজ দিয়েছেন এই জুটি। ছবিটি শ্রীময়ী তার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে ক‌্যাপশনে লিখেছেন—‘শারদীয়ার শুভেচ্ছা। শত বাধা বিপত্তি ঝড় অতিক্রমের পরও জীবনের দামি মুহূর্তগুলোকে ফ্রেমবন্দি করতে আমরা ভুলিনি। প্রতি বছরের মতো পূজার এই ছবি তো অপরিহার্য।’ ছবিটি শেয়ার করার পর তার পোস্টে কমেন্টের বন্যা বইছে। একজন লিখেছেন, ‘এত কিছু হওয়ার পরেও! চালিয়ে যাও।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘প্রেম জমে উঠেছে।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এটারই অপেক্ষায় ছিলাম।’ শ্রীময়ীর পোস্ট করা ছবি ও ক‌্যাপশন তাদের প্রেমের সম্পর্কের গুঞ্জন নতুন করে উসকে দিয়েছে। যা নেটিজেনরা মন্তব‌্য করে সরাসরি বলেছেন। যদিও এ নিয়ে মুখ খুলেননি শ্রীময়ী কিংবা কাঞ্চন। তবে কয়েক মাস আগে শ্রীময়ী বলেছিলেন—‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ রটনা। আমি ক্লাস সিক্স থেকে কাঞ্চনদাকে চিনি। আমাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক। কেন এই সম্পর্ককে ঘিরে জলঘোলা হচ্ছে বুঝতে পারছি না। পিংকিদি কেন এটা করলো তা-ও জানি না।’ ৯ বছর আগে অভিনেত্রী পিংকিকে বিয়ে করেন কাঞ্চন। কিন্তু পিংকি মাত্র ২০ দিন সংসার করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন কাঞ্চন। কারণ বিয়ের পর থেকেই বাবার বাড়িতে থাকেন পিংকি। লকডাউনের সময়েও একসঙ্গে ছিলেন না তারা। এই দম্পতির একটি পুত্রসন্তান রয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: