কসবামাজাইলে নৌকার দৌড়ে এগিয়ে চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২১, ০৮:৫৮ পিএম
আগামী সপ্তাহের যে কোন দিন ঘোষনা হতে পারে পাংশা ও রাজবাড়ী সদর উপজেলার নির্বাচনী তফসীল। ইতি মধ্যে রাজবাড়ী জেলার ৩টি উপজেলায় নির্বাচনী তফসীল ঘোষনা করা হয়েছে। আগামী ১১ নভেস্বর জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় ও আগামী ২৮ নভেম্বর জেলার কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ সমূহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার ইউপি নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা না হলেও দলের মনোয়ন পত্র ইতি মধ্যে বিক্রি করেছেন উপজেলা আওয়ামীলীগ। এরই মধ্যে দলীয় মনোয়ন পত্র ক্রয় করেছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ৪২ জন প্রার্থী। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেই শুরু করেছেন দলীয় হাইকমান্ড বরাবর দৌড়ঝাঁপ, লবিং ও যোগাযোগ। সেই সাথে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সাথে নিবিড় সর্ম্পক রেখে চলছেন প্রার্থীরা। এদিকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেই মাঠে নেমেপড়েছেন কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান খান। তিনি ২০১৬ সালে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসাবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয় অর্জন করেছিলেন। এবারও নৌকার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কামরুজ্জামান খান বলে বিভিন্ন সুত্রে জানাগেছে। ইউনিয়ন এলাকায় বিভিন্ন ভোটারদের সাখে কথা বলে জানাযায় ৫ বছর চেয়ারম্যান থাকা কালিল ইউনিয়নের বিভিন্ন দৃশ্যমান উন্নয়ন তিনি করেছেন সাধারণ ভোটাররা পূনরায় তাকে এ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসাবে দেখতে চাই। এ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা মনোনয়ন বোর্ডের সভাপতি তিনি বিভিন্ন সংস্থার জড়িপ,দলের নেতাদের সুপারিশসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় মনোনয়ন পত্র প্রদান করছেন। সদ্য মনোনয়ন দেওয়া কালুখালী ও বালিয়াকান্দি উপজেলায় কোন বিদ্রোহী প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। কামরুজ্জামান খান আশাবাদ ব্যক্ত করেন আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পাবেন। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কাজ করে চলছেন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ১নং সিনিয়র সহ-সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান খান। এ সরকারের আমলে আমি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর ইউনিয়নে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন হয়েছে। কসবামাজাইল ইউনিয়নে শতভাগ বিদুৎতায়ন,পাকা সড়ক, ব্যাপক পরিমান ইটের রাস্তা, বীজ্র কালভার্টসহ সকল প্রকার উন্নয়ন কর্মকান্ড পরিচালনা করায় কসবামাজাইল ইউনিয়নবাসি এখন সুখে শান্তিতে বসবাস করার সুজোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের অর্জন ধরে রাখতে সর্বাক্ত ভাবে আমি কাজ করে চলছি। কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবামাজাইল ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান খান একান্ত আলাপচারিতায় এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন কসবামাজাইল ইউনিয়নে বিভিন্ন সময় দলের নেতা কর্মীরা বিবাদে জড়ালেও তা সকলকে সাথে নিয়ে শান্তির জন্য মিমাংশা করার চেষ্টা করেছি বারবার। কামরুজ্জামান খান সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য সফল চেয়ারম্যান হিসাবে বিভিন্ন সংগঠনের কাজ থেকে পেয়েছেন সম্মাননা এ্যাওয়ার্ড। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান খানের পরিবার পূর্ব থেকেই বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের রাজনিতির সাথে জড়িত ছিলেন। ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান খানের পিতা মরহুম তমছেল উদ্দিন খান কসবামাজাইল ইউনিয়নে ১৯৬৯ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন। চেয়ারম্যান কামরুজ্জাম খানের ছোট ভাই মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন খান বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ পাংশা উপজেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন সু-নামের সাথে। ২০১৬ সালে প্রথম বারের মত নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়লাভ করা এই চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান খান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করে দলকে সু সংগঠিত রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সেই সাথে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হিসাবে তার রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে চলছেন। বিএনপি জামাত সরকারের সময় চেয়ারম্যান কামরুজ্জান খানের পরিবারটি হয়েছিল নির্যাতিত। ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে এলাকায় করেছেন ব্যাপক উন্নয়ন সরকারের দেওয়া সকল প্রকার ভাতা সঠিক ভাবে বিতরনে রয়েছে তার সুখ্যাতি। ইউনিয়নের মধ্যে কসবামাজাইল নতুন বাজার উন্নয়ন সাধান করেছেন, জনসাধারনের জন্য এলজি এসপির মাধ্যমে কসবামাজাইল সোনালী ব্যাংকের সামনে করেছেন দৃষ্ঠি নন্দন একটি বিশ্রামাগার সেখানে বিভিন্ন ভাতাভ’গীরা বসে অবস্থান করেন সেই সাথে তারা তাদের সেবা প্রাপ্তির পর প্রস্থান করেন। স্থানীয়রা বলেন ব্যাংকের সামনে এরুপ একটি বিশ্রামাগার করায় এলাকার মানুষ খুব খুশি। ইউনিয়ের মধ্যে খাল খনন করে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে রেখেছেন অবদান। মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে বরাদ্ধকৃত ভ’মিহীনদের গৃহ নির্মান কাজ অত্যান্ত দক্ষতার সাথে গৃহ নির্মান শেষ করেছেন। এর আগে একই প্রকল্পের মাধ্যমে জমি আছে ঘর নেই প্রকল্পেও সুন্দর ভাবে গৃহ নির্মান কাজ সম্মূন্য করেন এই চেয়ারম্যান। উন্নয়নের স্বার্থে বার বার বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের প্রয়োজন বলে মনে করেন ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খান। তিনি বলেন বর্তমানে ইউনিয়নে আমি সকলের সহযোগীতা নিয়ে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভাল রাখতে পারছি এখানে কেউ শালিশ করে টাকা নেয় না আমার এলাকার মানুষ শাস্তিতে বসবাস করছেন। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি দলের কাজে মনোনয়ন (নৌকা) প্রতীক প্রত্যাশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচিত হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন তৃণমূলে পৌছে দেওয়ার চেষ্ঠা করব।আমি ও আমার পরিবার রাজবাড়ী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম এমপির আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনিতি করে আসছি নৌকার জন্য চেষ্ঠা করছি নৌকা না পেলে বিদ্রোহী হওয়ার কোন ইচ্ছা আমার নেই। তিনি কসবামাজাইল ইউনিয়ন বাসির নিকট দোয়া আর্শ্বীবাদ কামনা করেছেন।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: