কারাগারে অসুস্থ মিন্নি

প্রকাশিত: ৩০ অক্টোবর ২০২১, ০৪:৩১ এএম
দেশের আলোচিত বরগুনায় চাঞ্চল্যকর শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যাকাণ্ড মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। তিনি বর্তমানে রাজধানীর অদূরে গাজীপুর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থাকা ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মিন্নিকে দেখতে বরগুনা থেকে আসেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। একই সাথে মিন্নির মা জিনাত জাহান মনিও আসেন মেয়েকে এক নজর দেখার জন্য। মিন্নির সাথে সাক্ষাতের পর মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, তার মেয়ে মিন্নি কয়েক মাস যাবত ঘাড়ে ব্যথা, লো প্রেশার ও দাঁতে ব্যথা নিয়ে মারাত্মক অসুস্থ। ঠিকমতো খেতে পারে না। ঘুমাতে পারে না। সব সময় অসুস্থ থাকে। তাই খুবই দুর্বল হয়ে গেছে। কারাগারের পানি পর্যন্ত খেতে পারে না। মিন্নির বাবা জানান, দীর্ঘদিন কারাগারে থাকা অসুস্থ মিন্নিকে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তবে মিন্নির বাবার দাবি, তাদের ওষুধে মিন্নি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েছে। প্রধান বিচারপতির কাছে উন্নত চিকিৎসার আবেদন করলেও এখনো উন্নত চিকিৎসার নির্দেশ পাননি তারা। তিনি আরও জানান, মিন্নির মুক্তির সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এদিকে, মিন্নিকে ১ বছরেরও বেশি সময় দেখতে না পেরে কষ্ট নিয়ে তার মাও অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মিন্নির মা জিনাত জাহান মনি বলেন, চোখের পানি ফেলতে ফেলতে দিন পার করছি। মহামারি করোনার জন্য ১ বছরের মধ্যে মিন্নির সাথে দেখাও করতে পারেননি তিনি। প্রসঙ্গত প্রকাশ, ২০১৯ সালের ২৬ জুন স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে কলেজে আনতে যান স্বামী শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ। আগে থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করে কলেজের সামনে ওঁৎ পেতে থাকে নয়ন বন্ড বাহিনী। গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার দায়রা জজ আছাদুজ্জামান রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় প্রাপ্ত বয়স্ক ১০ আসামির মধ্যে স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনকে ফাঁসির আদেশ দেন। এ মামলায় মোট আসামি ২৪ জন। বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। এরপর বরগুনা জেলা কারাগার থেকে মিন্নিকে গাজীপুর কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে ওই কারাগারেই রয়েছেন মিন্নি। ওই বছরই ২৭ অক্টোবর অপ্রাপ্ত বয়স্ক ১১ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেন শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: