লিটন-মুশফিক বীরত্বে প্রথমদিন শেষ করল টাইগাররা

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২১, ১০:৫৩ পিএম
পাকিস্তানি বোলাররা উইকেটের দেখা পেয়েছিলেন প্রথম সেশনেই। এরপরের দুই সেশন মিলিয়ে মোট ৫৭ ওভার বোলিং করেও উইকেটের দেখা পেলেন না তারা। প্রথমদিনটা নিজেদের করে নিলেন টাইগার ব্যাটার লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। চোটাক্রান্ত লিটন ব্যথা নিয়েও শেষের দিকে লড়াই করে গেছেন বীরের মতো। তাই তো দিনশেষে মাঠ ছাড়ার সময় লিটনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররাও। লিটন-মুশফিকের অনবদ্য ২০৪ রানের জুটিতে প্রথমদিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাড়িয়েছে ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রান। লিটন অপরাজিত থেকে গেছেন ১১৩ রান করে অপরপ্রান্তে মুশফিক অপরাজিত থেকেছেন ৮২ রান। দুজন আগামীকাল সকালে আবারও ব্যাটিং শুরু করবেন। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ অধিনায়ক মামুনুল হক। ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৪৯ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে লিটন-মুশফিকের দূর্দান্ত জুটিতে ঘুরে দাড়ায় টাইগাররা। ইনিংসের শুরুটা ভালো না হলেও মুশফিক ও লিটনের জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে তুলে বাংলাদেশ দল। সমালোচিত ও চাপের মুখে থাকা লিটন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলেন আজই। স্পিন বলে মিড অফের দিকে ঠেলে দিয়েই দৌড়ে প্রান্ত বদল করেই হাসলেন লিটন যেমনটা হেসেছে তার ব্যাট চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে। ওই সিঙ্গেলের সঙ্গে সঙ্গেই প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্যারিয়ারে সেঞ্চুরি তুলে নিলেন লিটন দাস। ক্যারিয়ারে এর আগে বেশ কয়েকবার সেঞ্চুরির আশা জাগালেও সেটা পূরণ করতে পারেননি। তবে পাকিস্তানের বিপক্ষে সেই আক্ষেপই ঘোচালেন এবার। লিটনের ইনিংসজুড়ে ছিল ১০টি চার ও ৬টি ছক্কার মার। এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির লাফিয়ে ওঠা বলে লাইন হারান সাইফ। যেটি জমা পরে আবিদ আলীর হাতে। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ব্যর্থ এই ব্যাটসম্যান আউট হন ১২ বলে ১৪ রান করে। সাইফের সমান ১৪ রান করে সাজঘরে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম। হাসান আলীর বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন এই বাঁহাতি। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে চ্যালেঞ্জ জানান, তবে লাভ হয়নি তাতে। ১৪ রানের গেঁড়ো কাটাতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্তও। নড়বড়ে ব্যাটিংয়ে ফাহিম আশরাফকে উইকেট দেন টেস্টে ‘অটো চয়েজ’ বনে যাওয়া শান্ত। পয়া ভেন্যু চট্টগ্রামে অধিনায়ক মুমিনুল হকের ব্যাটের দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। তবে এ যাত্রায় সতীর্থদের পথেই হাঁটলেন তিনি। ধীর-লয়ে ইনিংস শুরু করলেও সাজিদ খানকে উইকেট দেন ৬ রান করে। বড় জুটি গড়তে না পারা বাংলাদেশ দল দলীয় স্কোর পঞ্চাশ ছোয়ার আগেই হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন মুশফিক আর লিটন। প্রথম সেশনে দলকে আর বিপদে পড়তে না দিয়ে বাকি ১১ ওভার সামাল দেন। যেখানে ৬৯ রান তুলে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে যায় টাইগাররা।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: