শষ্যক্ষেত্র উর্বর হল, পুরুষ চালাল হাল, নারী সেই মাঠে শষ্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল
অদ্বৈত কুমার আকাশ, নন্দীগ্রাম (বগুড়া) থেকে: মানবতার কবি কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর নারী কবিতায় যথার্থ লিখেছেন শষ্যক্ষেত্র উর্বর হল, পুরুষ চালাল হাল, নারী সেই মাঠে শষ্য রোপিয়া করিল সুশ্যামল। এমনি দৃশ্য চোখে পরে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কের পাশে নন্দীগ্রাম উপজেলার কৈডালা মাঠে। ওই মাঠে পুরুষেরা ধানের চারা রোপনের জন্য পাওয়ারটিলার দিয়ে জমি চাষ করে দিচ্ছে। আর নারী শ্রমিকরা ধানের চারাগুলো জমিতে রোপন করচ্ছে।
কবি নজরুলের সাম্যের গান কর্মক্ষেত্রে মিলে গেলেও মজুরির ক্ষেত্রে মিলছেনা। আমাদের সমাজে নারীরা দীর্ঘকাল যাবৎ নানা রকমের অত্যাচার, অবিচার ও বৈষম্যের শিকার। মধ্যযুগ থেকে তার সূত্রপাত হলেও আজও তা শেষ হয়নি।
মাঠে কাজ করা এ নারী শ্রমিকেরা সকাল-সন্ধ্যা পুরুষ শ্রমিকদের মতো কাজ করে। কিন্তু তাদের মজুরি পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় অনেক কম। বছর ঘুরে নারী দিবস আসে। তখন নারী শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্যের শিকার হওয়ার বিষয়টি জোরেশোরে উচ্চারিত হয়। কিন্তু তাদের মজুরির কোনো পরিবর্তন হয় না।
জানতে চাইলে কৃষিশ্রমিক কান্তি বালা উরাও বলেন, আমরা ধান লাগানো, জমি নিড়ানি, ধান কাটা, মাটি কাটাসহ সবধরনের কাজ
করি। কিন্তু পুরুষ মানুষের চেয়ে আমরা মজুরি আনেক কম পাই। একজন পুরুষ মানুষের ৫০০টাকা মজুরি হলে সেখানে মেয়েরা পায় ২৫০-৩০০টাকা।
আরব আলী হোটেলের নারী শ্রমিক চম্পা আক্তার বলেন, হোটেলের এক জন পুরুষ শ্রমিক একদিন কাজ করলে ৬০০ টাকা বেতন পায়। আমি সকাল থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত থালাবাসন ধুয়ে পাই ২০০ টাকা। এ বিষয় জানতে চাইলে একজন সফল নারী ও নন্দীগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিফা নুসরাত বলেন, নারী শ্রমিকরা মজুরির বৈষম্যের শিকার হয়। এটি দুঃখজনক হলেও সত্য, একজন নারী শ্রমিক পুরুষ শ্রমিকের সমান কাজ করেও মজুরি অনেক কম পায়। মজুরি বৈষম্য দূর করতে হলে সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে সচেতন হতে হবে।
বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
এডিটর ইন চিফ: আমিরুল ইসলাম আসাদ
বাড়ি#৩৫/১০, রোড#১১, শেখেরটেক, ঢাকা ১২০৭
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ (০২) ৫৮১৫৭৭৪৪
নিউজ রুমঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯১
মফস্বল ডেস্কঃ ০১৫৫২৫৯২৫০২
বার্তা প্রধানঃ ০৯৬৭৮৬৭৭১৯০
মার্কেটিং ও সেলসঃ ০৯৬১১১২০৬১২
ইমেইলঃ [email protected]
পাঠকের মন্তব্য: