একই স্কুলে ৬ জনসহ যশোরে প্রাথমিকের ১৬ শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত

প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারি ২০২২, ০৯:২০ পিএম

যশোর জেলায় প্রাথমিক স্কুলের ১৬ জন শিক্ষক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যশোর শিক্ষাবোর্ড সূত্রে জানা যায়, একই স্কুলের ৬জনসহ ১৬ শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে। এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খ অহিদুল আলম বলেন, জেলায় ১৬ জন শিক্ষকের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সবাই দুই ডোস টিকা গ্রহণ করেছিলেন।

শিক্ষা অফিসার অহিদুল আলম আরও বলেন, শিক্ষকরা করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য মিললেও কোনো শিক্ষার্থীর আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। শিক্ষক বা শিক্ষার্থীরা করোনায় আক্রান্ত হলে কী করতে হবে সে ব্যাপারে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত না হতে বা কোনো গুজবে কান না দিতে অভিভাবকদের অনুরোধ জানানো হচ্ছে।

প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, সংক্রমিত ১৬ শিক্ষকের মধ্যে যশোর সদর উপজেলায় ১৪ জন আর অপর দুই জনের মধ্যে একজন শার্শায়, অন্যজন অভয়নগর উপজেলায়। এক স্কুলে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন যশোর শহরতলী সদরের বালিয়াডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৬ জন সহকারী শিক্ষক। এই বিদ্যালয়ে প্রথমে করোনা আক্রান্ত হন সহকারী শিক্ষক তানিয়া জামান তমা।

তার শরীরে করোনার উপসর্গ দেখা দিলে চলতি মাসের ১০ জানুয়ারি যশোর জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দেন। ১৩ জানুয়ারি খবর পান তিনি করোনা পজিটিভ। ১৩ জানুয়ারি খবর পান তিনি করোনা পজিটিভ। করোনা উপসর্গ দেখা দেওয়ায় ওই দিন একই স্কুলের ১৭ জন শিক্ষকের মধ্যে ৫ শিক্ষক কানিজ ফাতেমা, হোসনে আরা, সুতপা রাণী, সামছুন্নাহার সালমা ও জিনজিরা খাতুন নমুনা দেন। এরপর ১৫ ও ১৭ জানুয়ারি নমুনা দেওয়া সবারই করোনা শনাক্ত হয়। তবে বাকি শিক্ষকরা সুস্থ থাকায় করোনা পরীক্ষা করেননি বলে জানিয়েছেন স্কুলটি প্রধান শিক্ষক।

এদিকে, যশোরে এক স্কুলেই ৬ জন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের সংক্রমণের ভয় করছেন অভিভাবকরা। ফলে স্কুল খোলার পর উপস্থিতি ৯০-৯৫ শতাংশ থাকলেও এখন অনেক স্কুলে ৫০ শতাংশ নেমে এসেছে। মোশাররফ হোসেন নামে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, তিনি তার সন্তানদের আপাতত স্কুলে পাঠানো থেকে বিরত রেখেছেন। শিক্ষার্থীদের করোনার টিকা না দিয়ে স্কুল খোলা বুদ্ধিমানের কাজ হয়নি।

প্রসঙ্গত, জেলায় ৮টি উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৮৯টি। এসব বিদ্যালয়ে বর্তমানে কর্মরত সকল ৪ হাজার ৪০০ শিক্ষকদের করোনা টিকা গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

বিডি২৪লাইভ ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পাঠকের মন্তব্য: